গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে টঙ্গী ষ্টেশনরোড এলাকায় তার নিজ বাসভবনে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। তিনি তার ১৮ দফা ইশতেহারের প্রথম দফায় তিনি মেয়র পদে নির্বাচিত হলে গাজীপুর সিটিকে একটি পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, কালের পরিক্রমায় রাজধানীর উপকণ্ঠে অবস্থিত গাজীপুর আজ রূপান্তরিত হয়েছে শিল্প নগরীতে, বেড়েছে জনসংখ্যা। বর্তমানে দেশের প্রায় সবকয়টি জেলার লোকই গাজীপুরে বসবাস করে। গাজীপুরের জনসংখ্যা যেভাবে বেড়েছে সেভাবে কিন্তু নাগরিক সুযোগ সুবিধা বাড়েনি। অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে আমাদের প্রিয় এই নগরী। মাত্র দশ বছর বয়সী এই শিশু সিটি করপোরেশনের গত দু’টি পরিষদ কিভাবে দায়িত্ব পালন করেছে তা আপনারা সকলেই অবগত আছেন।
সরকার শাহনূর ইসলাম রনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী আলহাজ¦ অধ্যাপক এম এ মান্নানকে গাজীপুর মহানগরবাসী বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, জনরায়কে অসম্মান করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত একজন মেয়রকে ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারা অন্তরালে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়। ফলে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে গাজীপুরবাসী। একইভাবে সরকারি দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ক্ষমতা ও স্বার্থের দ্বন্দ্বে দ্বিতীয় পরিষদের মেয়রও তার দায়িত্বকাল অতিবাহিত করতে পারেননি। তদুপরি গত ৫ বছর সিটি কর্পোরেশনে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তা এখন তাদের মুখ থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। শত শত কোটি টাকার এই দুর্নীতির ভাগীদার ছিলেন তারা সকলেই। তাদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু না হলে হয়তো আমরা কেউ আজ এ দুর্নীতির চিত্র জানতেই পারতাম না।
তিনি আরও বলেন, টঙ্গী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন আমার বড় চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার অত্যন্ত সুনামের সাথে দুইবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমার অপর চাচা মরহুম সাহাজ উদ্দিন সরকারও টঙ্গী পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকার উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেন। বড় চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে এলাকার উন্নয়নে অভূতপূর্ব অবদান রাখেন। আমাদের পরিবার অত্র এলাকার উন্নয়নের গোড়াপত্তন করেন। আমি পারিবারিক ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতাকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। ‘নগর পিতা’ নয় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একজন সেবক হয়ে নাগরিকদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে চাই।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান গাজীপুর থেকেই শুরু হয়েছিল হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ। সেই প্রতিরোধ আন্দোলনে আমার বড় চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার ও আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকার সরাসরি সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব প্রদান করার কারণে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান ও গর্বিত মনে করি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়; আপনারা সকলেই অবগত আছেন, গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্য দিবালোকে কারা হত্যা করেছিলো। আমি এই শহিদী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। কেবল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের হীন উদ্দেশ্যে এবং আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যে কালিমা লেপনের অসৎ লক্ষ্যে আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকারকে কলঙ্কজনক সেই ঘটনার মামলায় সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ স্বরূপ বিগত ২০০৬ সালের টঙ্গী পৌর নির্বাচনে টঙ্গীবাসী আমার পিতার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের সেই সুনিশ্চিত বিজয়ও কেন্দ্র দখলের মাধ্যমে অল্প ভোটের ব্যবধানে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিলো। এখন আর এসব কলঙ্কজনক ইতিহাস স্মরণ করতে চাই না। হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত একটি সুন্দর ভবিষ্যত প্রজন্ম উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে অতীতের সেসব ইতিহাস বহু কষ্টে চাপা দিয়ে রেখেছি। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমার ১৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছি।
সরকার শাহনূর ইসলাম রনির ১৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার নি¤œরূপ ঃ
১. আমি নির্বাচিত হলে গাজীপুর সিটিকে একটি পরিচ্ছন্ন সবুুজ নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।
২. সিটি কর্পোরেশনের সকল নাগরিকের নাগরিকসেবা সহজ ও জনবান্ধব করবো।
৩. শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলবো। অতিরিক্ত করারোপের ফলে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান সিটির বাহিরে অন্যত্র চলে গেছে এবং যাচ্ছে। বিশেষ করে বিসিক এলাকার শিল্পোদ্যোক্তারা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই কাঙ্খিত সেবা না পেলেও তাদেরকে দুই থেকে তিন জায়গায় মোটা অংকের মাশুল গুনতে হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে গার্মেন্ট কারখানাসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মালিকরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন না, ওয়েস্টেজ ব্যবসার নামে সারা বছরই তাদেরকে জিম্মি করে রাখা হয়। স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থ হাসিল না হলে বা তারা কোনো কারণে অখুশি হলে শিল্পে কৃত্রিম শ্রমিক অসন্তোষসহ অনাকাঙ্খিত নানা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। মাত্রাতিরিক্ত ট্যাক্সসহ এসব নানাবিধ বিড়ম্বনার কারণে শিল্পোদ্যোক্তারা ব্যবসা গুটিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। ফলে যে সকল নাগরিক বাড়ী/কলোনী ভাড়ার আয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতেন তারা এখন দৈন্যদশায় পড়েছেন। আমি নির্বাচিত হলে শিল্প ট্যাক্স সহনীয় মাত্রায়
নির্ধারণ করবো এবং শিল্পের সকল সমস্যা চিহ্নিত করে একটি শিল্প ও শ্রমিকবান্ধক পরিবেশ গড়ে তুলবো। বিশেষ করে টঙ্গী ও কোনাবাড়ি বিসিক এবং টঙ্গীতে রাজউকের নির্ধারিত শিল্প জোনে এখনো যে সকল প্লট পতিত/পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে সেসব স্থানে শিল্প ইউনিট স্থাপনের জন্য শিল্প্যোদ্যোক্তাদের আগ্রহী করার নানা প্রদক্ষেপ গ্রহন করবো। যে সকল কারখানা বন্ধ বা রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে সেসব কারখানার মালিকদের যথাসাধ্য সহযোগিতা দিয়ে কারখানাগুলো সচল করার চেষ্টা করবো। যাতে নগরবাসীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় এবং শিল্প মালিক ও বাড়ী মালিকগন ভালো থাকেন।
৪. বিকল্প রাস্তা সম্প্রসারণ-উন্নয়ন ঘটিয়ে ঢাকা-গাজীপুর যানজটমুক্ত যাতায়াতের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবো। গাজীপুর শহরের সাথে ঢাকার সহজ যোগাযোগের জন্য বনমালা রোড থেকে রেল লাইনের পূর্বপাশ দিয়ে তুরাগ নদ পর্যন্ত রাস্তাটি সম্প্রসারণ করবো এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে তা কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত সম্প্রসারণ করবো। ফলে ঢাকা থেকে গাজীপুর যাতায়াতের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
৫. নগরীর পূর্ব-পশ্চিমমুখী দুটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। গাজীপুর শহরকে বলা হয় একরাস্তার শহর। নির্বাচিত হলে জয়দেবপুর জংশনের দক্ষিণপাশ এবং উত্তরপাশ দিয়ে আরও দুটি রাস্তা পূর্ব-পশ্চিমমূখী করে নির্মাণ করার উদ্যোগ নেব। রাস্তা নির্মাণ/প্রশস্তকরণে ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
৬. রেলক্রসিংগুলোতে ওভারপাস নির্মাণ করবো। মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম রাস্তাগুলোর রেলক্রসিংগুলোর উপর প্রয়োজন অনুসারে ওভারপাস নির্মাণ করবো।
৭. আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত স্কুল-কলেজ গড়ে তুলবো। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। মানসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত না হলে জাঁতি পিছিয়ে পড়ে। তাই আমি নির্বাচিত হলে ৫৭টা ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশন এর তত্ত্বাবধানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ৫৭ টি স্কুল এ- কলেজ নির্মাণ করবো।
৮. সুস্থ বিনোদন ও খেলাধূলার জন্য খেলার মাঠ নির্মাণ/উন্নয়ন করবো। আমাকে নির্বাচিত করলে আপনাদের সন্তানদের সুস্থ বিনোদন ও খেলাধূলার জন্য ৫৭টি সুপরিসর খেলার মাঠ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেব। ৫৭ টি ওয়ার্ডে ৫৭ টি শিশুপার্ক ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করবো।
০৯. পাখির নির্ধারিত অভয়ারণ্য গড়ে তুলবো। বনাঞ্চল উজার হওয়াতে দেশের পাখপাখালি কমে যাচ্ছে। পাখি পরিবেশের বন্ধু। নির্বাচিত হলে প্রতিটি ওয়ার্ডে দুই/তিন বিঘা জমির সমন্বয়ে পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করবো।
১০. নাওজোর-কাশিমপুর-জিরানী ও গাজীপুর টু পূবাইল রোড এর কাজ দ্রুত শেষ করবো। আমি নির্বাচিত হলে নাওজোর থেকে কাশিমপুর হয়ে জিরানী পর্যন্ত রোডের কাজটি দ্রুত সমাপ্ত করবো। গাজীপুর টু পূবাইল রোড এর কাজ দ্রুত শেষ করবো।
১১. টঙ্গী শিল্প এলাকার রাস্তাগুলো দখলমুক্ত করবো। নির্বাচিত হলে টঙ্গী শিল্প এলাকার সুপ্রশস্ত রাস্তাগুলো দখলমুক্ত করে উভয়পাশে সবুজের সমারোহ ঘটাবো।
১২. নগরীর খালগুলো দখল-দূষণমুক্ত করে খনন ও সংরক্ষনের ব্যবস্থা করবো। নগরীর ভেতর
দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলোকে পরিকল্পিতভাবে খননপূর্বক দখলমুক্ত করে স্বচ্ছ জলের আঁধার তৈরি করবো।
১৩. সহনীয় ট্যাক্স নির্ধারণ করবো। জনগণ যেন কখনোই অতিরিক্ত ট্যাক্সের ভারে জর্জরিত না হন সেদিকে খেয়াল রাখবো। নগরবাসীর জীবনযাত্রার মানের সাথেসঙ্গতি রেখে সহনীয় মাত্রায় সুষম ট্যাক্স নির্ধারণ করবো।
১৪. ওয়ার্ড ভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে পরিকল্পিত টেকসই উন্নয়ন ঘটাবো। প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, এলাকার নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও মুরুব্বীদের সাথে নিয়ে পরিকল্পনামাফিক ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করবো।
১৫. নগরীর টেকসই উন্নয়নের জন্য শত বছর মেয়াদী মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করবো। দেশের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী, পরিকল্পনাবিদ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, স্থপতিদের সমন্বয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে সিটির উন্নয়নে সচেষ্ট হবো।
১৬. পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় যাবতীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে বায়ু ও পানি দূষণ সর্বনিম্ম মাত্রায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করবো। পরিবেশ রক্ষায় সকল শিল্প কারখানার জন্য কেন্দ্রীয় শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন অগ্রাধিকার দিব। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করবো এবং সকল জলাধার সংরক্ষণ করে মৎস্য চাষের মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো।
১৭. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জলাবদ্ধতা দূরীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এলাকাভিত্তিক জলাবদ্ধতা দূরীকরণে স্থানীয় জনগণ এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি জলবদ্ধতা নিরসনে নিয়মিত এবং বিশেষভাবে বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হবে। ড্রেন পরিষ্কারে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির বাহনও আনা হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে ড্রেন থেকে ময়লা পরিস্কার করা হয় ধীরে ধীরে
তেমন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
১৮. সু-পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প গ্রহণ করবো। গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের জন্য সু-পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প করা হবে। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য পর্যায়ক্রমে স্বল্পমূল্যের বাসস্থান নির্মাণ করা হবে।
বিভিন্ন সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পরামর্শকদের সাথে আলোচনা করে এবং তাদেরকে সাথে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে বিভিন্ন বস্তিগুলোকে উন্নত সুযোগ-সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি বয়সে তরুণ। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। ভোট আপনাদের শ্রেষ্ঠ আমানত। যদি আমাকে আপনাদের যোগ্য মনে হয়, আগামী ২৫ মে ভোটের মাধ্যমে আপনাদের আমানতের সেরা বিনিয়োগ করুণ। কথা দিচ্ছি, আমি আপনাদের পাশে সেবক হয়ে থাকবো।