বগুড়ার-সারিয়াকান্দি সড়কে বাস চলাচল একেবারে বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ চালু হবে তাও বলতে পারছেনা কেউই। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বাস চলাচল। বিগত করোনাকালীন সময়ে সরকারী নির্দেশে বাস চলাচলের বিধিনিশেদ দেওয়ার পর থেকেই বাস চলাচল বন্ধ ছিল। সে থেকে আজও চলছে না মিনি বাস। এতে করে সাধারন যাত্রীদের একদিকে যেমন বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে অন্যদিকে সময় অপচয় হচ্ছে বগুড়া সদরে যাতায়াতে। সাধারন যাত্রীরা অচিরেই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে বাস চলাচল পুনরায় চালু করতে পূর্ববগুড়ার হাজার হাজার মানুষের প্রানের দাবী হয়ে ওঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়কে বাস চলাচল স্বাধীনতার পরবর্তীকাল হতে। এর আগে পুর্বগুড়ার যাত্রীরা টম্টম্ ও গরুরগাড়ীতে বগুড়া জেলা শহরে যাতায়াত করতেন। জানা গেছে স্বাধীনতার পর মেটো পথে সারিয়াকান্দি সদর হতে হবুর ও হাটফুলবাড়ী থেকে বকুলের বাস চলাচল করত এই সড়কে। বাস দুটি সকালবেলা যাত্রীদের নিয়ে বগুড়া জেলা শহরে যেত ফিরত সন্ধ্যা বেলায়। ভাড়া ছিল তিন টাকা। ছয় টাকার বিনিময়ে বগুড়া যাতায়াত করত সাধারন যাত্রীরা। বর্তমানে বাস ভাড়া ১০গুন বেড়ে, ভাড়া দাড়িয়েছে ৩০ টাকা। তবুও বাসে যাত্রী ভাড়া নিয়ে পোষাতে পারছেন না বাস মালিকরা। বাস মালিকরা জানান, ভাড়া বাড়লে কি হবে বাসে তো আর যাত্রী ওঠছেনা। কনভারশন ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) চালিত থ্রি-হুইলারের কারণে আমরাতো কোণঠাসা হয়ে পড়েছি। একারনে বগুড়া-সারিয়াকান্দি, বগুড়া তরুনীরহাট হয়ে কড়িতলা চন্দনবাইশা ও বগুড়া সুখানপুর চরপাড়া ভেলুরপাড়া হয়ে সোনাতলা সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কবে নাগাদ বাস চালু করা সম্ভব হবে তা বলতে পারছেন না বাস মালিক ও শ্রমিক নেতারা। তবে পূর্ববগুড়ার মালিক সমিতি নেতারা বলছেন, পুর্ববগুড়া সড়কে প্রথমে কম সংখ্যক বাস চলাচল করলেও বন্ধের আগে মিনি বাস চলাচল করত ৯৭টি। এসব বাস বগুড়া শহরের ফতেহআলী ব্রীজের আশপাশ থেকে চলাচলালের ব্যবস্থা করে দিলে সহসায় বাস চালু সম্ভব আমাদের। এদিকে এই বাস চলাচল বন্ধ থাকাতে পূর্ববগুড়া ৩টি সড়কে কমপক্ষে ৫ শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও ৯৭ জন বাস মালিক পরিবহন ব্যবস্যা ধসের কারণে ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবতার সহিদ জীবন যাপন করছেনে এখন। সারিয়াকান্দি হাসনাপাড়া গ্রামের বাস মালিক আকিবুল রহমান মিল্টন বলেন, আমি ২টি বাস বিক্রয় করলেও চালু রেখেছি ১টি বাস। এবাস শুক্রবার ছাড়া সকাল ৯টার দিকে সারিয়াকান্দি সদরে আসে ও বিকাল সাড়ে ৫টায় ফেরত যায় বগুড়া শহরে। এভাবে বাস চলাচল করে কোন ভাবেই পোষাতে পারছিনা আমরা। পুর্ব বগুড়া চেলোপাড়া মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মাইফুল তোফয়েল কোয়েল বলেন, আমরা বাস চালু রাখবো কিভাবে। সিএনজি ওয়ালাদের উৎপাত দাপটে আমরা কোন ঠাসা, ফলে বাসে যাত্রী ওঠতে চাইছেনা। আমাদের প্রশাসনের কাছে আমাদের আকুল আবেদন থাকবে খুব শিঘ্রই বাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া। যাতায়াতের যাত্রীদের দূর্ভোগ লাঘব হয়।
এব্যাপারে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক বলেন, এই রুটে বাস চলাচল করত তা আমার জানা নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে তারাতারি বাস চলাচলের ব্যবস্থা করব আশাকরি।