ভোলার তজুমদ্দিনের বিচ্ছিন্ন চরের ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে আশ্রয়স্থল হিসাবে ভরসা পেয়েছে নব নির্মিত মুজিব কিল্লায়। তবে চরে বসবাসকারী মানুষ ও গবাদি পশু-পাখির তুলনায় কিল্লার সংখ্যা অনেক কম বলে দাবি করছে স্থানীয়রা।
সুত্রমতে জানাগেছে, মেঘনার তীব্র ভাঙ্গনের ফলে উপজেলার সোনাপুর, বড় মলংচড়া,চাঁদপুর ও চাচড়া ইউনিয়নের বিরাট অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে হাজার হাজার পরিবার ভিটা বাড়ি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়ে। এসব মানুষ তজুমদ্দিনের মেঘনায় জেগে উঠা চরজহিরউদ্দিন, সিডারচর, চরনাসরিন, চরমোজাম্মেল, চরলক্ষ্মী ও তেলিয়ারচর সহ বিচ্ছিন্ন চর গুলোতে বসবাস করে আসছেন। পাশাপাশি গরু ছাগল মহিষ ও হাঁস মুরগি কতুতরসহ বিপুল পরিমাণে প্রাণী সম্পদ রয়েছে এসব চরে। ইতোপূর্বে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিচ্ছিন্ন এসব চরের মানুষের জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভোলা -৩ আসনের সাংসদ আলহাজ¦ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রচেষ্টায় চরের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ত্রান ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তেলিয়ারচর, চরনাসরিন ও চরমোজাম্মেলে নির্মিত হয়েছে ৫টি মুজিব কিল্লা।
সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিশু জানান, আমার এলাকার চর নাসরিন ও তেলিয়ার চরে দুটি মুজিব কিল্লা নির্মাণ হওয়ায় মানুষের জান মাল নিরাপদ হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের বসতি অনুযায়ী চরগুলোতে আরো মুজিব কিল্লা প্রয়োজন।
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ কিরন বলেন আমার ইউনিয়নের জনবসতিপূর্ণ এলাকা চরমোজাম্মেলে একটি মুজিব কিল্লা নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে অপর দুটি কাজ চলমান আছে। জলোচ্ছ্বাস, দূর্যোগে চরের মানুষ নারী, শিশু ও গবাদিপশুর জন্য আশ্রয়স্থল হিসেবে মুজিব কিল্লা নিরাপদ মনে করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, সমতল থেকে ১২ ফুট উচ্চতা আড়াই হাজার মানুষ ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ১২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫টি মুজিব কিল্লার ৩টি শতভাগ অপর ২টি নির্মাণ কাজ চলমান আছে। এবারে ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় দূর্গম চরের মানুষ,গবাদি পশু পাখি সহ মুজিব কিল্লা গুলো শতভাগ ব্যবহার করেছে।