রাণীশংকৈলে পানিতে ডুবে শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে রোববার দুপুরে সাজিদুর রাজ্জাক (সাজু) (১০) শিশু তার অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে গ্রামের পাশে কুলিক নদীতে গোসল করতে নামে। পরে সেখানে পানিতে ডুবে সে মারা যায়। নিহত সাজিদুর রাজ্জাক (সাজু) পৌরশহরের আল আমানাহ ইসলামিক একাডেমির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র এবং উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের বেলতলী পদমপুর এলাকার আবদুল আলিম ও নার্গিস দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে। লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরবেলা সাজু ও তার চাচাতো ভাইসহ অন্যান্যরা বাড়ির পাশে কুলিক নদীতে গোসল করতে নামেন। নদীতে নামার একপর্যায়ে নিখোঁজ হন সাজু। এ সময় সাথে থাকা চাচাতো ভাইয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে নদীতে খোঁজাখুঁজির পর সাজু'র মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় আমানাহ ইসলামিক একাডেমির শিক্ষক বৃন্দ ও অধ্যক্ষ মাওলানা মাসউদ আলম সহ দাফন কার্য সম্পন্ন করে   মরহুমের পিতা মাতাকে সমবেদনা জানায়। 

ওপরদিকে রাণীশংকৈল উপজেলার পূর্ব বনগাঁও এলাকায় পানিতে ডুবে মো. রাজু(২০)মৃত্যু হয়েছে। রোববার  বেলা ৩টার দিকে নন্দুয়ার  ইউনিয়নের পূর্ব বনগাঁও গ্রামের গোদ্দীন গাটা পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু ওই গ্রামের সইদুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, চার বন্ধুর এক সঙ্গে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়।  গোসল করার সময় একপর্যায়ে সে বেশি পানিতে ডুবে যায়। তার সাথে থাকা বন্ধুরা এ সময় চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নন্দুয়ার  ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল বারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরিবারের সদস্যদের কোন আপত্তি না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।