বাগেরহাটের কচুয়ার বয়ারসিঙ্গা ছিটাবাড়ী ভাষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯ টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১৭ টি ল্যাপটপ দিয়ে ২০২১-২২ অর্থ বছরে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের যাত্রা শুরু হয়। ১ বছর না পেরোতেই ২৫ জুন রাতের কোন একসময় ল্যাবের ১৭ টি সহ মোট ১৯ টি ল্যাপটপ চুরি হয়। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায় কচুয়া থানায় এটিকে চুরির ঘটনা উল্লেখ একটি লিখিত অভিযোগ করেন।পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদ ও অন্যান্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নৈশ প্রহরী ফয়জুল হক কে ৮ টি এবং ল্যাব সহকারী সীতার্থ শংকর পাইক কে ৫ টি ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার শর্তে বিষয়টি একপ্রকার ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটে।আর এরইমধ্যে ধার দেনা করে নৈশ প্রহরী ৮ টি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন এবং সীতার্থ শংকর পাইক এর বেতন পাওয়ার পর ৫ টি কিনে দেওয়ার কথা রয়েছে তবে বাকি ৬ টির কি হবে এ বিষয়ে জানা যায়নি।এ বিষয়ে আরো জানাযায়,চুরির দিন ডিজিটাল ল্যাবের পাশের রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন অসুস্থ নৈশ প্রহরী ফয়জুল।রাতের কোন একসময় তালা ভেঙ্গে কৌশলে রুম থেকে মোট ১৯ টি ল্যাপটপ চুরি হয়। বিষয়টি নিয়ে তখন দায়সারা ভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন রায় বলেন,স্কুল বন্ধ থাকা অবস্থায় ২৫ জুন রাতে নৈশ প্রহরী অসুস্থ অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকায় সুযোগে সুকৌশলে এসব ল্যাপটপ চুরি হয়। বিষয়টি নিয়ে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ করি। পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ও ল্যাব সহকারীকে ১৩ কিনে দেওয়ার শর্তে বিষয়টি মিমাংসা হয়।