দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানো নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চিঠির জবাব দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ইইউ অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলিকে তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। ২৩ সেপ্টেম্বর সই করা চিঠিতে সিইসি বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর আমি আপনার চিঠি পেয়েছি, যেখানে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাকে আশ্বস্ত করছি। সরকারও বারবার নিজের জায়গা থেকে সহায়তা করার বিষয়ে অঙ্গীকার করছে। তা সত্ত্বেও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্যতা যোগ করবে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যাই হোক না কেন, আমি বিশ্বাস করি যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তবুও আসন্ন সাধারণ সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে যেভাবেই সমীচীন বলে মনে করা হোক না কেন, সমর্থন অব্যাহত রাখবে। এর আগে চার্লস হোয়াইটলি সিইসি এক চিঠিতে লেখেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাজেট স্বল্পতার কারণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা পরিষ্কার নয় যে, নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয় শর্তাবলীয় পূরণ হবে কি না। তবে তারা পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠালেও সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অন্যান্যভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তা দেবে এবং যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চিঠির জবাব দিয়েছেন। তিনি সেখানে লিখেছেন, আমরা আপনাদের চিঠিটা পেয়েছি। আমরা সরকার থেকে যে ধরনের সাপোর্ট পাঁচ্ছি, এই সাপোর্ট থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব। সরকারের কাছ থেকে আগের মতো সহযোগিতা পাবো বলেও আশা করি। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, অল্প পরিসরে হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষক পাঠাবে। যত বেশি পর্যবেক্ষক আসবে, তত নির্বাচন স্বচ্ছ হবে। ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আগামী নভেম্বরে ঘোষণা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে।