রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে পৃথক ঘটনায় গৃহকর্মীসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ। গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাতিরঝিল বড় মগবাজারের একটি বাসা থেকে ফারজানা (১৪) নামে গৃহকর্মী এবং রাত ১২টার দিকে মধুবাগ এলাকার ফুটপাত থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির (৬৫) লাশ উদ্ধার করে। লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত ফারজানার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে এসআই রাকিবুল আলম উল্লেখ করেন, গৃহকর্তা শাহাবুদ্দিন সবুজ মাধ্যমে খবর পেয়ে গতরাত আড়াইটার দিকে বড় মগবাজার গ্রীনওয়ে রোডের ৪৫১/১ নম্বার বাড়ির ৩য় তলার বাসার মেঝে থেকে ফারজানার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির কালো দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভোলার তজুমউদ্দিন উপজেলার চর জহুরুদ্দিন গ্রামের রবিউল ও বেগম দম্পতির মেয়ে ফারজানা। গৃহকর্তা ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন সবুজ দাবি করে জানান, বাসায় তার স্ত্রী ইতি, তাদের ১২ ও ৯ বছরের দুই ছেলে এবং তার স্ত্রীর বড় ভাইসহ থাকেন। শাহাবুদ্দিন বরিশালে একটি কাজ শেষে গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে বাসায় ফিরেন। বাসায় ফেরার পর ৫-৬ বার কলিংবেল চাপলেও ফারজানা দরজা খুলে দেয়নি। এরপর তার স্ত্রী ইতি দরজা খুলে দিলে তিনি বাসায় ঢুকেন। তখনও ফারজানাকে বাসার ভেতরে দেখতে পাননি। তবে বাথরুমের লাইট জ্বলছিল। বেশ কিছুক্ষণ পরও বাথরুম থেকে তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখেন, বাথরুমের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে ফারজানা। তখন তারা ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ফারজানাকে নামিয়ে মেঝেতে রাখে। এরপর থানায় খবর দেন তারা। গত দুই বছর ধরে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল ফারজানা। মাসে চার হাজার টাকা বেতন দেওয়া হতো তাকে। তবে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত মর্গে ওই গৃহকর্মীর কোনো স্বজন পাওয়া যায়নি। এদিকে হাতিরঝিল থানার এসআই কারিবেল হাসান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিষয় বলেন, রাতে খবর পেয়ে মধুবাগ ব্রিজের নিচে ফুটপাত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভবঘুরে প্রকৃতির। অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।