শৈলকুপায় স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।ফার্মেসীর মালিকরা স্যালাইনের সংকট দেখিয়ে ন্যায্য দামের চেয়ে কয়েক গুন বেশি মুল্যে তা ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার চর আউশিয়া গ্রামের কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি অপারেশনের জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী রেখে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন কবিরপুর পৌর এলাকার হাসপাতালের সামনে জোয়াদ্দার ফার্মেসিতে। তখনওষুধ জরুরি হওয়ায় তিনি দাম মেলাতে পারেননি। পরে দেখেন তাঁর কাছ থেকে ৯২ টাকার আইভি স্যালাইনের দাম নেওয়া হয়েছে ২৩০ টাকা। এ ঘটনায় দোকান মালিকের সঙ্গে বাগ্বিত-ায় জড়িয়ে পড়েন কবির হোসেন। এ ব্যাপারে কবির হোসেন বলেন, তিনি এক স্বজনের অপারেশনের জন্য কবিরপুরে সাহিদা প্রাইভেট হাসপাতালের নিচে জোয়ার্দার ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান। তাঁর কাছ থেকে ৯২ টাকার স্যালাইন ২৩০ টাকা দাম নিয়েছেন ফার্মেসির কর্মামচারি মাহাবুব হোসেন। এব্যপারে ফার্মেসীর মালিক মিলনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আপনারা বেশিবেশি করে লেখেন আমি বাহিরে আছি। পরে ফার্মেসীর কর্মচারী মাহাবুব জানান, হাটফাজিলপুর বাজার থেকে বেশি দামে স্যালাইন কিনতে হয়েছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাবুল ফার্মেসির মালিক বাকীবিল্লাহ বলেন, এক মাস ধরে স্যালাইনের তীব্র সংকট চলছে। এ সংকটকে পুঁজি করে বেশি দামে স্যালাইন বিক্রির সুযোগ নেই। এটা অপরাধ। অপসো স্যালাইন কোম্পানির শৈলকুপার সিনিয়র প্রোমশন অফিসার আনিচুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এবার তাদের কোম্পানি ১৩২ ভাগ স্যালাইন বেশি দিচ্ছে। তারপরও সংকটের কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদ আল মামুন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যালাইনের সংকট নেই। বাইরে স্যালাইন সংকট ও বেশি দামে বিক্রির কথা তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, ক্রেতা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণসহ অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নিব। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ( ভৃমি) বনি আমিন জানান আমি অভিযোগ পেয়েছি যেকোনো সময় ফার্মেসীগুলোতে অভিযান চালাব।