খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেককে মেহেরপুর ২ (গাংনী) আসনে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি শিক্ষা ও সমাজিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় যাচাই বাছাই শেষে তাকে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এই অঞ্চলের মানুষকে বিভাগীয় পর্যায় সম্মানিত করেছেন। পূর্বের ন্যায় এবারও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বৃন্দের পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ কর্মীরা জানান,খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ খালেক সারদিনই দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সেবায় নিয়েজিত রয়েছেন সকালে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে পরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে বসে জনগনের সেবা করার পর প্রায় প্রতিদিনই গ্রামগঞ্জে ছুটে যান দলীয় নেতাকর্মী সহ এই অঞ্চলের সাধারন মানুষের সুখ দু:খের খোঁজ খবর নিতে। এম এ খালেক উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সংগঠনকে যেমন শক্তিশালী করেছেন তেমনী উপজেলার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট কার্লভাট সহ নানা উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। আওয়ামী লীগ কর্মীরা দাবি করেছেন,করোনা দূর্যোগের সময় অনেক জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যখন ঘরবন্দী হয়েছিলো ঠিক তখনই সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে সহযোগিতা করতে জীবনবাজি রেখে মাঠে ময়দানে কাজ করেছে এম এ খালেক। ‘ত্রাণ নয় উপহার’ এই শ্লোগান দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সঙ্কটের ফোনকল পেয়ে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বাড়িবাড়ি পৌছে দিয়েছেন এম এ খালেক। এ ছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক মাইকিং সহ মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোবস, লিফলেট বিতরণ শহরে জীবানুনাশক স্প্রে দেয়াসহ নানা কর্মসূচি চলমান রেখেছিলো উপজেলা চেয়ারম্যান এ খালেক। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এ খালেক বলেন, কোন প্রতিদান পাওয়ার জন্য নয় সেবার ব্রত নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে চলেছি। চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে রাজনীতির মাঠে রয়েছি। আমি এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে থাকতে চাই। তাই প্রায় সময় প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের কাছে ছুটে যাই। ইতোপূর্বে (৭/৮ সালে) মনোনয়ন পেলেও দলের নির্দেশনা মোতাবেক মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিই কিন্তুু সতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নৌকাকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। তিনি আরো বলেন,সামনে সংসদ নির্বাচন। তাই সাংগঠনিকভাবে সংগঠনকে শক্তিশালী এবং নৌকার পক্ষে জনমত তৈরি করা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বিপুল উন্নয়নের মহাযজ্ঞ জনগণের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রতিটি মুহূর্তে জনগণকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকছি মানুষের সুখ দুঃখ গুলো ভাগাভাগি করে নেওয়া এবং সমাধানের চেষ্টা করছি। তাই মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।