ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে সৃষ্ট ঝোড়ো হাওয়া ও নিম্নচাপে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে এবং ঝড়ে ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় চর গজারিয়া টিপু সুলতান মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কাচাঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মেঘনার নদীর তীরে থাকা অর্ধশতাধিক মাছ ধরার ছোট-বড় নৌকা ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং বেশ কয়েকটি নৌকা ডুবে যায়। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় এ ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ নৌকা বেদে সম্প্রদায়ের। এতে তারা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা। এদিকে ঝড়ের তা-বে ওই এলাকার অন্তত ২০ টি কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাওহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা নদীর তীরে ছোট ছোট নৌকা রেখে সেগুলোতে বসবাস করে। ওই নৌকা দিয়ে তারা মাছ শিকার করে। ঝড়ের তা-বে বেশ কিছু নৌকা ডুবে গেছে, আবার বেশ কিছু নৌকা ভেঙে গেছে। সবমিলিয়ে অর্ধশতাধিক নৌকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
চর আবদ্যুাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন জানান, মেঘনা নদী বেষ্টিত চর গজারিয়া টিপু সুলতান মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কাচাঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন উপজেলা দুর্গম ও বিচ্ছিন্ন চর গজারিয়া এলাকা পরিদর্শন শেষে শনিবার বিকালে তিনি বলেন, ওই চরে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান এখন পর্যন্ত আংশিক ১২০টি ও ৪০টি সম্পুর্ন বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। বরাদ্ধ পাওয়া এসব চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।