সাঘাটায় ক্রয়কৃত জমি বেদখলের চেষ্টা

এফএনএস (খ.ম মিজানুর রহমান রাঙ্গা; সাঘাটা, গাইবান্ধা) :  : | প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৪:১৫ এএম

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়িতে একটি পরিবারের নিজের কেনা জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে নির্মাণকৃত ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। এতে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। নিজের জমি রক্ষায় গতকাল সাঘাটা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগি পরিবারটি।  

জানা যায়, উপজেলার আমদিরপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবদুল জলিলের ছেলে আবদুর রাজ্জাক জুয়েল জুমারবাড়ি বাজারে দুই শতাংশ জমির উপর পাকা ঘর নির্মাণ করে ভাড়া প্রদান করেন। প্রতিপক্ষের লোকজন তা নিজের দাবি করে মাঝে মধ্যেই হুমকি-ধমকি ও হামলা চালানোর চেষ্টা করে আসছিলো। হামলার আশঙ্কা করে গত কয়েকদিন আগে থানায় সাধারন ডায়েরিও করেন জুয়েল। গত শুক্রবার সকালে আবদুল মোত্তালেব, রিপু, বাদল, শহিদুল ও আবদুল মতিন সহ প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠি-সোটা, হাতুড়ি, খুন্তি, সাবল নিয়ে এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে চুরে গুড়িয়ে দেয়। এতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আ: রাজ্জাক জুয়েল ও তার মা রহিমা বেগম সহ তিনজন আহত হন।

উপায়ান্তু না পেয়ে সাঘাটা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তারা। লিখত বক্তব্যে জুয়েল জানান, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর জলিলের পুত্র আঃ রাজ্জাক ওরফে জুয়েল গত ১৯৯১ সালের ৩০ মে জুমারবাড়ি মৌজার মোজাফফর রহমান মন্ডল ওরফে খোকার নিকট থেকে কবলা দলিল মূলে দুই শতাংশ জমি ক্রয় করে প্রায় ৩২ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ গোলাম মুনছুর ওরফে চাঁন মিয়া মন্ডলের পুত্র মোতালেব ওই দাগে জমি পাবেন বলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমার জায়গায় পুরাতন ঘর ভেঙে নতুন করে ইট দিয়ে ঘর পূর্ণনির্মাণ কাজ করতে থাকলে প্রতিপক্ষ মোতালেব অন্যায় ভাবে বাধা সুষ্টি করে। উল্লিখিত জমির জে এল নং ১০৮, খতিয়ান নং- সি এস ০৩, আর এস ২২, দাগ নং ১৫৩, জমি ২৮ শতকের মধ্যে ২ শতাংশ খারিজ করে নেই। যাহার জে এল নং- ১০৯, খতিয়ান নং ৬৫, দাগ নং- ৫৯৫। গত তিনদিন আগে মোতালেব ও তার লোকজন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়। এতে আমি ও আমার মা বাধা প্রদান করলে আমাদেরকে বেদম মারপিট করে। এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছি। এজাহার দায়ের করায় প্রতিপক্ষের লোকজন  আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজন কে ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে। এদিকে অভিুযুক্ত মোতালেব বলেন, তারা অন্যায় ভাবে ওই জায়গা দখল নিয়ে স্থ্পনা তৈরি করেছে। হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। সাঘাটা থানার এসআই শাহীনুর ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। থানায় একটি লিখিত অভিযোগ তারা দিয়েছেন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW