জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ১৩৬০ শিক্ষার্থীকে মেধা মূল্যায়ন পরিক্ষা মাঝ পথে বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও শারমিন আক্তার। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার ৪১ টি কিন্ডারগার্টেনের ১ হাজার ৩৬০ জন শিক্ষার্থীকে পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে পরিক্ষা বন্ধ করে বের করে দেয়া হয়। সরিষাবাড়ী উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন সুত্রে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে মেধা মূল্যায়ন ও বৃত্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও মেধা মূল্যায়ন ও বৃত্তি পরিক্ষার আয়োজন করা হয়। এ বছর উপজেলার ৪১ টি কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৩৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শুক্রবার দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ পরিক্ষার আয়োজন করা হয়। পৌর এলাকার সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া ইসরাইল আহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিক্ষা কেন্দ্র করেন উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন। শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে পরিক্ষা শুরু হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জেলা প্রশাসক এর বরাদ দিয়ে দুই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ফোন দিয়ে পরিক্ষা বন্ধ করে স্কুল খালি করতে বলে। সরিষাবাড়ী কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক শিক্ষক বলেন, এই পরিক্ষা সারা দেশে হচ্ছে। জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, জামালপুর সদর, পাশ্ববর্তী ধনবাড়ী উপজেলাতেও পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের সরিষাবাড়ীর পরিক্ষা চলাকালীন অর্ধেক সময়ে বন্ধ করে দেয়া হলো। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে বয়ড়া ইসরাইল আহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহমুদ বলেন, আমার এখানে কিন্ডারগার্টেন এর পরিক্ষা চলছিলো। পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে ইউএনও স্যার আমাকে ফোন দিয়ে পরিক্ষা বন্ধ করতে বলে আমি তার আদেশে পরিক্ষা বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, এখানে তারা যে ভাবে পরিক্ষা নিচ্ছে এভাবে পরিক্ষা নেয়ার কোন বিধিবিধান আমাদের কাছে নেই। এটা তারা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিচ্ছিলো। আর এভাবে পরিক্ষা নেয়ার নিয়মও নেই। আর এই ধরনের পরিক্ষা অনুমতি ব্যাতিত নেয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে ডিসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করে তার নির্দেশে পরিক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান বলেন, কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন এর কোন অনুমোদন নেই। সকালে আমি এই পরিক্ষার বিষয়ে মোবাইলে অভিযোগ পাই। আর তাছাড়া এই পরিক্ষার বিষয়ে বোর্ডের কোন অনুমতি নেই। তাহলে তারা কিভাবে পরিক্ষা নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার কারণে পরিক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।