কুষ্টিয়ায় চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্পিরিট পানে ২জনের মৃত্যু

এফএনএস (রাজ্জাক মাহমুদ রাজ; ইবি, কুষ্টিয়া) : : | প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:২৫ পিএম

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্পিরিট পান করে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। স্পিরিট পান করে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে। নিহতরা হলেন, কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫০) এবং কুষ্টিয়া ইবি থানার দুর্বাচারা গ্রামের নুর ইসলাম পটলের ছেলে কাশেম আলী (৪০) নামের দুইজনের মৃত্যু হয়। কাশেম নুরুলের সহযোগী ছিলেন। স্পিরিট পানে অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুর্বাচারা গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে গঞ্জের আলী। নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রামের হামিদুল ডাক্তারের হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে নুরুল ইসলাম ও কাশেম আলী স্পিরিট কিনেন এবং একটি মুদি দোকানে বসে পান করেন। এরপর আবারও নুরুল ও কাশেম গঞ্জের আলীকে সাথে নিয়ে পুনরায় স্পিরিট পান করেন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্বজনেরা ও স্থানীয় লোকজন তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল ও কাশেমের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গঞ্জের আলী। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, স্পিরিট পান করার কারণে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আহত অবস্থায় একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, স্পিরিট পানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW