যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়য় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী মেঘলা বেগম (২৩) গুরত্বর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী আলামিন ফরাজী (২৭) কে স্থানীয়রা ধরে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলার ৫নং ওয়ার্ড বুইকারা এলাকার রফিকের তেতুল আড়ৎ এর সামনের সড়কে। আহত মেঘলা নওয়াপাড়া গরুর হাট এলাকার পান্নু শেখের মেয়ে।
আহত পিতা পান্নু শেখ জানান, আট বছর পূর্বে আলামিন ফরাজীর সাথে মেঘলার বিয়ে হয়। তাদের ৪বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পাষন্ড আলামিন টাকার জন্য প্রায় আমার মেয়েকে মারধর করে। আলামিন সংসারের খরচ দিতো না। সংসার ও সন্তানের জন্য মেঘলা বুইকার রফিক ভুয়ার তেতুলের আড়ৎ এ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতো। বুধবার দুপুরে মেঘলা বেগমের সাথে স্বামী আলামীন ফারাজী বাড়িতে কথাকাটি ও ঝগড়া বিবাদ ঘটে। পরে বুইকারা জগোবাবু মোড় এলাকার রফিকের তেতুলের আড়ৎ এর সামনের সড়কে স্বামী আলামিন তার স্ত্রী মেঘলাকে পেটে ১ টি ও পিঠে ৩টি ছুরিকাঘাত করে। এতে মেঘলা রক্তাত্ব আবস্থায় রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা মেঘলাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: বাহারুল ইসলাম জানান, মেঘলা ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে। তার জখমটা মারাক্ত । যে কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আলামিন ফারাজী গুয়াখোলা বস্তি এলাকার মৃত দুলাল ফরাজীর ছেলে। মেঘলা গরুহাট এলাকার পান্নু শেখের মেয়ে। সে রফিক ভুইয়ার তেতুলের আড়তের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। ৫নং ওর্য়াড কাউন্সিলর ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান মিজা মোল্যা বলেন, স্বামী আলামিন তার স্ত্রী মেঘলাকে পেটে ১ টি ও পিঠে ৩টি ছুরিকাঘাত করে। আলামিন পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে আমার কাছে নিয়ে আসে। পরে তাকে পুলিশে কাছে সোর্পদ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনর্চাজ এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় আলামিন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন।