বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোন শিক্ষা মন্ত্রী বা প্রধান মন্ত্রী মন্তব্য করেন নাই। কারণ আওয়ামী লীগের পাঁচ বছর আগের ইস্তেহারে উল্লেখ ছিল, বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে উপজেলা পর্যায়ে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ সরকারি করন/ জাতীয়করন করা হবে। সেই সুবাদে ১টি বিদ্যালয় ও ১টি কলেজ সরকারি করন হয়েছে। এমনও বিদ্যালয় আছে ১৯৫৯/৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও তা সরকারি করন হয়নি। যে সমস্ত বিদ্যালয় কলেজ সরকারি করন হয়েছে; সেগুলি সারা জীবন সরকারি বেতন পাবেন। এমনকি চাকুরি শেষ হলেও পেনশন পাবেন। তিনি মারা গেলেও তার স্ত্রী যতদিন বাঁচবে ততদিন স্ত্রীও অর্ধেক বেতন পাবেন। আজকে যারা সরকারিকরন হলেন, তাদের সারা জীবনের দায়িত্ব সরকার নিলেন অথচ যারা সরকারি করন হতে পারলেন না তাদের দূর্দশার কথা কে চিন্তা করবেন? কে এগিয়ে আসবেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয় করনের জন্য। আমি একটি নিবন্ধে লিখেছিলাম; যে শিক্ষক অবসর নিবেন, তাঁকে ১ বছর সরকারী বেতন দিয়ে তার চাকুরী জাতীয়করন করা হোক এবং তাকে পেনশনের আওতায় আনলে সরকারের অনেক অর্থ ব্যয় করতে হবে না। যখন যে অবসর যাবেন, তখনি তিনি সরকারীভাবে পেনশন পাবেন। এভাবে চাকুরী জাতীয়করন করা হলে সরকারের এক সঙ্গে অনেক অর্থ ব্যয় হবে না। অথচ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এভাবে চাকুরী জাতীয়করন করা হলে কাজটি করা খুব সহজ হবে। প্রতিষ্ঠান সরকারি করার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরী সরকারিকরন হবে নতুন এক পদ্ধতিতে। ইতিপূর্বে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় মতামত কলামে জাতীয়করনের নতুন পদ্ধতি প্রকাশ হয়েছিলো। একজন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী চাকুরী যেদিন শেষ করেন তার পরের দিন থেকে আর কোন বেতন পান না, এটাই ধ্রুব সত্য কথা। এক দেড় বছর পর তিনি কল্যাণ ট্রাষ্টের টাকা হয়তো পাবেন। আর যদি বেঁচে না থাকেন, তাহলে পাওয়ার সম্ভবনা থাকলেও তিনি পান না। তাই চাকুরী শেষ হওয়ার সাথে সাথে কমপক্ষে কল্যাণ ট্রাষ্টের টাকাগুলো তাঁর ব্যাংক একাউন্টে চলে আসলে জীবন ও সংসার চালানো সহজ হত। কিন্তু তা নিয়ে কে ভাববে? অথবা বিষয়টি কার দ্বরা কার্যকর হবে? বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের জীবন নিয়ে কেইবা গভীরভাবে ভাবেন বা গবেষণা করেন? যেদিন চাকুরী শেষ, সেদিন থেকে তিনি শ্রমিক হিসেবে কাজ করলে দুটো টাকা পাবেন নচেৎ মানুষের কাছে হাত পেতে খেতে হয়। সারা জীবন মানুষ গড়ার কারিগর হয়ে সমাজের উন্নয়ন করে কি লাভ? শেষ জীবন যদি এত ভয়াবহ হয় তাহলে দেশের ও দশের কাজ করে এত সম্মান অর্জন করে কি লাভ হবে? তাই বিষয়টি নিয়ে সরকারের বড় বড় মাথা ওয়ালা ব্যক্তিরা একটু ভাবেন এবং সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বেসরাকারি শিক্ষক কর্মচারীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ন্যায্য মতামত ব্যক্ত করলাম। বিয়টি অতীব জরুরী। বিধায় অবহেলা না করে একটি সহজ পদ্ধতিতে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের পেনশন ব্যবস্থা চালু করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সমন্বয়ে একটি বোর্ড তৈরী করে আশু ব্যবস্থা করা উচিত বলে মনে করি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টিতে বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধক্রমে দাবী জানাচ্ছি।