রমজান মাসের অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোদমে জমে ওঠেনি ঈদের বাজার। বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষের আয় কমছে। ফলে এই সময়ে দোকানীদের প্রত্যাশিত বেচাকেনা হচ্ছে না। সামনে যে বিক্রি খুব বাড়বে তাও মনে হচ্ছে না। এ ছাড়া ক্রেতারাও দেখেশুনে পণ্য কিনছেন। দরদাম করছেন বেশি। কিনছেন কম। কারন সবকিছুর আকাশ ছোয়া দাম বেড়েছে। বাড়তি দাম দিয়ে পণ্য কিনতে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে না। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কেনাকাটায় কম আসছেন। এবার মানুষের যে অবস্থা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদে কেনাকাটা কম হওয়ারই কথা। এবছর বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ-গ্যাস সহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে যাদের টাকা আছে তারা ঠিকই কেনাকাটা করছে। তাদের ঈদ মানে বিলাসিতা। তাদের কাছে মূল্যস্ফীতি বলতে কিছু নেই। আর সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করবে যতটুকু প্রয়োজন। এর মধ্যেও কেউ কেউ ধার-কর্জ করেও কেনাকাটা করবে। আর মূল্যস্ফীতির চাপটা এদের উপরেই বেশি পড়ে। এই শ্রেণির মানুষের কাছে ঈদ বোঝা মনে হয়। সীমিত বাজেটে কেনাকাটা করাই কঠিন হচ্ছে। ঈদের আগে দাম কমার আশায় অনেকে এখনও কেনাকাটা করছেন না। লাল নীল আলোয় সেজেছে নগরের শপিংমলগুলো। সন্ধ্যা নামতেই শপিংমলের আলোয় ঝলমল করে উঠছে চারপাশ। ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে ঢুঁ মারছেন ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন- বেচাবিক্রি খুব একটা জমেনি এখনও। প্রায় প্রতিটি দোকান ক্রেতায় ঠাঁসা, কিন্তু তারা কিনছেন কম, দেখছেন বেশি। বিক্রেতারা আশা করছেন, রমজানের শেষের দিকে ঈদের বেচাবিক্রি শুরু হবে। ঈদকে ঘিরে বাহারি ডিজাইনের পোশাক পণ্য মজুদ রেখেছেন তারা। এবার ভারত, চীন ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত পণ্য কিনতে পারবে ক্রেতারা। এদিকে, ঈদকে ঘিরে ক্রেতাদের কেনাকাটায় স্বস্তি এবং নিরাপত্তা দিতে মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতারাও নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। মার্কেটের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি ক্রেতাদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের মনিটরিং টিম। তবে সবকিছুর আগে মার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। যেন ক্রেতারা স্বস্তিতে এবার মার্কেটে ঈদ কেনাকাটা করতে পারেন। তাই পকেটমার, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান-মলম পার্টি প্রতিরোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে।