ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ

এফএনএস (মোঃ হাফিজুর রহমান; বরগুনা) :  : | প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:৪৮ এএম

বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধাকে উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। রোববার  বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন  কারাগারে আটক চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধার কন্যা মোসাঃ ফারহিন বাসার জিমি। লিখিত বক্তব্যে মোসাঃ ফারহিন বাসার জিমি বলেন, আমতলীর ০৬ নং সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার পিতা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল বাসার নয়ন মৃধাসহ আমার পরিবারের আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাক্সক্ষী কর্মী সমর্থকরা বর্তমান চরম হয়রানির শিকার। আমরা স্বাভাবিক প্রচার প্রচারনা চালাতে পারছিনা। আমার পিতা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল বাসার নয়ন মৃধা বর্তমানে উদ্দেশ্যমূলক সাজানো ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। অথচ ওই মামলার ঘটনা সম্পর্কে আমার পিতা চেয়ারম্যান প্রার্থী কিছুই জানেনা। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল আমতলী শহর থেকে ৬/৭ কিলোমিটার দুরে নাচনা পাড়া গ্রামে অবস্থিত। অথচ অই সময় আমার পিতাসহ ওই মামলার ০১ থেকে ০৩ নং আসামি আমতলী শহরে অবস্থান করছিলো। যার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোবাইল কলরেকডিং পর্যলোচনা করলে জানতে পারবেন। আমার পিতা যাতে নির্বাচন না করতে পারে সে জন্যই উদ্দেশ্যমূলক হত্যাকান্ড মামলায় তাকে জড়িত করা হয়েছে। তিনি বলেন, নাচনাপাড়া এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে  ১০ এপ্রিল হিরন গাজী নিহত হয়। ওই নির্মম হত্যাকান্ডে আমার পরিবার শোকাহত। তার সুষ্ঠ তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীর বিচারের দাবি জানাই। আমাদের প্রতিপক্ষ প্রার্থী জনাব মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা আমতলী ইউনিয়নের বেশিরভাগ খালগুলো দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করে আসছিল। এই খালগুলো সাধারন মানুষ ব্যবহার করতে পারে না। আমার বাবা এই খালগুলো উদ্দার ও জনসাধারনের ব্যবহরের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষনা দেয়। এই ঘোষনা বাস্তবায়নের জন্য গত ০৮ এপ্রিল ২০২৪ আমার বাবা নয়ন মৃধা প্রশাসনের সহয়াতা কামনা করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। বরগুনার জেলা প্রশাশক ও পুলিশ সুপার তদন্ত করে এই অবৈধ খালগুলো অবমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহন করে। এই অবৈধ খাল মুক্ত করার ঘোষনা ও প্রশাসনের অভিযোগের পর থেকে আমাদের প্রতিপক্ষ প্রার্থী আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই জের হিসাবে আমতলী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমস্ত খালগুলো দখল করায় তাহার বিরুদ্ধে আমার বাবার এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় আমার বাবাকে নির্বাচন হতে বিরত থাকার উদ্দেশ্যে মিথ্যাভাবে আমামি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা নয়ন মৃধা এই হত্যা কান্ডের পর তার বাসায় অবস্থান ও নির্বাচনী প্রচারনার কাজে যাচ্ছিল। তার ভিতরে কোনরকম অপরাধবোধ কাজ না করায় কোন রকম ভীতি ছাড়া আমতলী বাসায় অবস্থান করছিলেন। তাকে ১১ এপ্রিল সন্ধায় তার নির্বাচনী অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধার প্ররোচনায় হিরনের স্ত্রী প্রকৃত আসামি আড়াল করে আমার বাবাসহ তার কর্মীদের হত্যা মামলায় আসামি করে। যা সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসবে। এই মামলায় অজ্ঞাত ৪০/৫০ জন আসামি করায় বর্তমানে আমাদের কর্মীরা আতঙ্কে নির্বিঘেœ মাঠে প্রচারনা করতে পারছে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার লোকজন আমাদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে জনগনের মাঝে ভয় ভীতি ও সংশয় কাজ করছে। আমরা  প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকান্ডের বিচারের জোর দাবী জানাই। চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধার কন্যা মোসাঃ ফারহিন বাসার জিমি আরও বলেন, আমার বাবা ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় কারাগারে, অন্য দুই চাচা পান্নু মৃধা ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমার বাবার ফুফাতো ভাই আবুল কালাম আজাদ এজাহার ভুক্ত আসামী। আমার পরিবারের সদস্যরা ও কর্মী সমর্থকরা ভীতি ও আতঙ্ক অবস্থায় থাকায় নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে পারছিনা। আপনারা সরে জমিনে অনুসন্ধান করুন। প্রকৃত ঘটনা জানুন ও এ ব্যাপারে মিডিয়ায় তুলে ধরুন। সর্বপরি সুষ্ঠু নির্বাচনের আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা সহয়তা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাশীর কাছে কামনা করছি। আমার বাবা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা যাতে মিথ্যা মামলায় জামিনে বের হয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহণ করতে পারে সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন এবং বরগুনা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কারাগারে আটক জামান পদপ্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার বড়ভাই মোঃ কামরুজ্জামান হিরু মৃধা, জাকির হোসেন কবিরসহ পরিবারের লোকজন।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW