তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বরিশাল নগরীসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা। অসহনীয় তীব্র গরমে সবচেয়ে কষ্টে আছেন দিনমজুর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। রৌদ্র ও গরমের তীব্রতা এতোটাই বেশি যে, বাহিরে কাজে বের হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পরছেন।
ফলে একটু স্বস্তি পেতে অনেকে আশ্রয় নিচ্ছেন পার্কে কিংবা রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায়। জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদের মধ্যেই কাজে বের হতে বাধ্য হয়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুররা। বৈশাখের তৃতীয় দিনে মঙ্গলবার তীব্র গরমে নাজেহাল নগরবাসী। গত এক সপ্তাহ ধরে পুড়ছে নগর জীবন। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। দিনে তীব্র গরমের পর রাতেও নেই স্বস্তি। রাতে একদিকে মশার উৎপাত ও প্রচন্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। এরমধ্যে কোনো ভালো খবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার দুপুরে আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের চেয়ে মঙ্গলবার তাপমাত্রা আরো বেড়েছে। বরিশালে সহসাই বৃষ্টির দেখা মিলবে না। বাড়বে আরো তাপের তীব্রতা। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, গত বছর পরে আবারো বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে শুক্রবার বিকেলে। ওইদিন বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, ২০১২ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এবার বরিশালে সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৬ সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়েছিলো।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সদস্যরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটেছে। নগরীতে আগের মতো বড় বড় গাছ নেই, পুকুর ও খাল নেই। এসব কারণে বাতাসের সাথে আর্দ্রতা বহন করেনা। সবকিছু শুস্ক হয়ে যাওয়ায় গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরমে পানিশূন্যতাসহ নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় পেশাজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালকদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তীব্র গরমে পানিশূন্যতা কিংবা হিটস্ট্রোক হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের একটানা কাজ না করে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।