টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তী পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তকে বিয়ে করেছেন। তবুও বিদিপ্তার থেকে সাড়ে ছ'বছরের ছোট বিরসার মায়ের সঙ্গে তার নাকি ছিল বান্ধবীর মতো সম্পর্ক।হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদিপ্তার শাশুড়ি ওপার বাংলার আরেক অভিনেত্রী সঞ্চালিকা চৈতালী দাশগুপ্ত। বিরসার সঙ্গে বিয়ের প্রচুর সামনে থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল তার। এক সাক্ষাৎকারে সেটাই জানালেন এই অভিনেত্রী। বিদিপ্তা বলেন, ‘তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত ছিল। তখন তো বিরসাকে (বর্তমান স্বামী) ছোট দেখেছি। হয়তো কখনও গালও টিপে দিয়েছি আদর করে, ঠিক মনে নেই (হাসি)।’ অভিনেত্রী আরও জানান, স্বামীর চেয়ে বয়সে প্রায় ৭ বছরের বড় তিনি। অথচ বয়সের এই ফারাক কোনোদিন তাদের সম্পর্কে বাধা হয়নি। বিরসাকে বিয়ের আগেই বিবাহিত ছিলেন বিদিপ্তা। প্রথম সংসারে একটি মেয়ে সন্তানও আছে তার। অথচ সেই সংসার টেকেনি। প্রথম বিয়ে ভাঙার আগেই শান্তিনিকেতনে বিরসার হাত ধরে ‘হারিয়ে গিয়েছিলেন’ তিনি। অভিনেত্রীর শাশুড়ি চৈতালী দাশগুপ্ত বলেন, ‘বন্ধু কখন বউমা হয়ে গেল, সেটা একদম চমকপ্রদ গল্পৃ’। পাশ থেকে হাসিমুখে বিদিপ্তা যোগ করেন, ‘হ্যাঁ, বন্ধু কখন ছেলের বউ গেলৃসেটা শকিং’। আধুনিক চিন্তা-ভাবনায় বিশ্বাসী চৈতালী জানান, ‘বিয়ের পর ও আমার মেয়ে হয়ে গেল। সঙ্গে একটা ফুটফুটে বাচ্চা (মেঘলা) পেয়েছিলাম। আমার বাড়িটা ভরে গেল। আমার বাড়িতে মেয়ে ছিল না। আমার দুই ছেলে। আর আজ বাড়িময় মেয়ে। সব মিলিয়ে আমার ভরপুর সংসার’। বন্ধু যখন বউমা হয়ে ঢুকল পরিবেশ কতটা বদলেছিল? রচনার প্রশ্নের উত্তরে বিদিপ্তা বলেন, ‘আমার পাশে সামান্য বদলায়নি। বাবা-মায়ের প্রতি যে দায়িত্ব ছিল, সেটা শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি থাকবে। আমার পাশে তো শ্বশুরমশাই দাদা আর শাশুড়ি পিসি। আমি রাজাদা আর চৈতালী পিসি বলে ডাকি তাদের আজও।’ ২০১০ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বিরসা-বিদিপ্তা। এটা ছিল বিদিপ্তার দ্বিতীয় বিয়ে। অভিনেত্রীর প্রথমপক্ষের মেয়ে মেঘলা দাশগুপ্তের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক দ্বিতীয় স্বামীর। বর্তমানে বাবার সহকারী পরিচালক হিসেবে পেশা করছে সে।