২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে রাতের অন্ধকারে মাদ্রাসা সুপার ও ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলামকে বকা দিয়ে একটি অনুষ্ঠান থেকে বের করে দিয়েছেন ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার।
ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে। চেয়ারম্যানের ঘুষের বিরুদ্ধে এ প্রতিবাদটি উপস্থিত সকলের মাঝে নাড়া দিয়েছে। এই অভিযোগ মিথ্যা বা ভিত্তিহীন এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেননি।
তিনি চেয়ারম্যানের বকা খেয়ে বাধ্য হয়েছেন উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, আমার অন্যত্রে বদলি হওয়ার কারণে বুধবার ফুলবাড়ীতে আমার শেষ কর্ম দিবস ছিল। এই দিনে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের ধৃষ্টতামূলক আচরণ আমাকে ব্যথিত করেছে।
এ সময় তিনি চেয়ারম্যানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানান, আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের কথা শুনবো না এমপি সাহেবের কথা শুনববো। অবশ্যই এমপি সাহেব চেয়ারম্যানের চেয়ে বড়। নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। এটা ডিজি মহোদয় নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের সুজনেরকুঠি রুহুল আমিন দ্বিমূখী দাখিল মাদ্রাসায় সুপার ও ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ হয়। এতে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এরপরও মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ নিয়োগ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাতের অন্ধকারে সুপার ও ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ প্রদান ও তাদের যোগদান সম্পন্ন করে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার এ বিষয়টি জানতে পেরে নিয়োগে সংশ্লিষ্ট থাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলামকে প্রতিবাদ জানান এবং তাকে বকা দিয়ে একটি অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাকে বের করে দেন।