কাজির গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নাই- প্রবাদ বাক্যের মত বিরলে পর্নোগ্রাফী মামলার আসামীর পিতা এবং নাবালক সন্তানের অবৈধ বিবাহদাতা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ায় নানান মুখরোচক আলোচনা টপ অফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। ৫ নং বিরল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ মেহেদুল ইসলাম এর ছেলে ব্যাপক আলোচিত পর্নোগ্রাফী মামলার আসামী ও নাবালক সন্তানের অবৈধ বিবাহদাতা হিসেবে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাটে-বাজারের সর্বত্র একই আলোচনা-সমালোচনা চলমান আছে। অনেকে বলছে যে নিজের ঘরেই আইনের শাষন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, সে জনপ্রতিনিধি হয়ে এলাকায় কতটুকু আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন? এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
বিরল থানার গত ৭ মার্চ ২০২৪ তারিখের ৯ নং মামলায় এজাহারকারী জানান, ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে আমার মেয়ের সাথে অনৈতিক ও অবৈধ কাজ করার জন্য ভরতপুর গ্রামের মোঃ মেহেদুল ইসলাম এর ছেলে রিহাদুল ইসলাম @ রিফাত (১৬) তাহার মনোনীত স্থানে ডাকে। কিন্তু আমার মেয়ে দেখা করিতে অস্বীকার করিলে আমার মেয়ের উক্ত ভিডিও ফেইসবুক-এ ভাইরাল করিয়া দিবে বলে হুমকী প্রদান করে। একপর্যায়ে ইং ০৭ মার্চ/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৪৫ ঘটিকায় আমি আমার বাড়ীতে অবস্থান করাকালে আমার মেয়ের নামীয় ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার-এ রিহাদুল ইসলাম @ রিফাত তাহার ব্যবহৃত ফেইসবুক আইডি হইতে অশ্লীল ভিডিও প্রেরণ করিয়া সাথে সাথে ম্যাসেজ প্রেরণ করে যে, আমার মেয়ে তাহার কথামতো দেখা না করিলে আমার মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করিয়া দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। আমার নাবালিকা মেয়ের অশ্লীল ভিডিও নাকি অনেকে দেখেছে এবং শুনেছে। উক্ত বিষয়ে স্বাক্ষীদ্বয়সহ এলাকার আরোও অনেক লোকজন জানে ও শুনেছে। এজাহারটি বিরল থানায় রুজু হলে থানা পুলিশ রিহাদুল ইসলাম @ রিফাতকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। এরপর ছেলেকে জামিনে মুক্ত করে নিজের নাবালক ছেলেকে অবৈধভাবে বিবাহের মাধ্যমে ছেলের বউ বাড়ীতে তুলে ঈদ উদযাপন করলে বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার খোড়াক যোগায়।
সরেজমিনে আমাদের প্রতিবেদক মোঃ মেহেদুল ইসলাম এর বাড়ীতে গেলে তড়িঘড়ি করে ছেলের বউকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয় বলে স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের নিকট কোন মন্তব্য করতে রাজি হোননি মোঃ মেহেদুল ইসলাম ও তার পরিবার।
পুরিয়া গ্রামের জাহানুর ইসলাম এর ছেলে সাগর ইসলাম লিখিত অভিযোগে জানান, পর্নোগ্রাফীর মাধ্যমে গোপনীয় মানহানিকর, আপত্তিকর, অশ্লীল ছবি ধারণপূর্বক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও বাল্য বিবাহের ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে সমাজে এর কু-প্রভাব বিস্তারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নাবালক ছেলের অবৈধ বিবাহদাতা ও পর্নোগ্রাফীর মাধ্যমে গোপনীয় মানহানিকর, আপত্তিকর, অশ্লীল ছবি ধারণপূর্বক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে অভিযুক্ত ছেলের মাধ্যমে একটি মেয়ে ও তার পরিবারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীতকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনের অনুলিপি রিটার্নিং অফিসার, অফিসার ইনচার্জ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, প্রেস ক্লাব এর সভাপতি/সম্পাদক এর নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।