দুই উপজেলার বিরোধ, অবশেষে ১৯ দিন পর অবসান

এফএনএস (মোঃ ইমদাদুল হক; সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা) : : | প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:৩৪ এএম

অবশেষে ১৯ দিন পর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে ডাঙ্গার চরসহ ৫ গ্রামের লোকজনের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়ের তেলিপাড়া গ্রামের লোকজনের তুঙ্গে উঠা সৃষ্ট বিবাদের অবসান ঘটেছে। 

স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাসহ দুই উপজেলার বিরোধ, মাইকিংয়ে হামলার হুমকি, ১৩ দিন ধরে অবরুদ্ধ সুন্দরগঞ্জের ৫ গ্রামের ৪ সহ¯্রাধিক মানুষ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হলে দুই জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নরে চরে বসেন। প্রশাসনিক ভাবে বিরোধ মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হলে গত ২৯ এপ্রিল রমনা ইউনিয়নের রিয়াজুল জান্নাত দাখিল মাদ্রাসা চত্বরে দুই  উপজেলার পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দু শালিশ মিমাংসাংয় মিলিত হন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিরোধে জরানো দুই উপজেলার মানুষরা। রমনা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশিক আকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শালিশ বৈঠকে ব্যাপক আলোচনায় অংশ নেন চিলমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক, সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যার্টাজী, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম ও উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। আলোচনা শেষে দুই উপজেলার বিরোধে জড়ানো মানুষজন একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে বিরোধের অবসান ঘটান। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুসলেকা দেন যে, আর কোন দিন তারা পরষ্পর বিরোধে জড়াবেন না। এতে করে অচল অবস্থার অবসান হলো। চিলমারী উপজেলার থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক মুঠোফোনে জানান, দুপক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ মিমাংসা হয়েছে। ডাঙ্গার চরসহ ৫ গ্রামের মানুষদের দৈন্দদিন প্রয়োজন মিটাতে চিলমারী, জোড়গাছ, উলিপুর, থানাহাট ও কুড়িগ্রামসহ তিস্তা ব্রীজ উত্তরের যে কোন স্থানে যাতায়াতে আর কোন বাধা থাকলো না। পূর্বের ন্যায় তারা স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারবেন। দুই ইউপি চেয়ারম্যান বিরোধের অবসান হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে উপস্থিত লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসায় মিষ্টি বিরতণ করেন। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তরিকুল ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করে বিরোধ জড়ানো দুপক্ষসহ মিমাংসা কারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW