বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁযের লিচু। লিচুর স্বাধ নিতে ক্রেতারাও লিচু কিনে এর স্বাধ গ্রহন করছে। সোনারগাঁয়ের লিচু বাজারে প্রথম আসায় ক্রেতার কাছে এর কদরও সবচেয়ে বেশী।
সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া-চৌরাস্তা বাজারে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে লিচু বিক্রেতা মোঃ ওমর ফারুক ১’শ বোম্বাই লিচু বিক্রি করছে ৪শত টাকা আর পেতি লিচু বিক্রি করছে ৩শত টাকা দরে। উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভা ও বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের পুরো এলাকা এবং মোগরাপাড়া, সনমান্দি ও পিরোজপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় ভালো লিচু ফলন হয়ে থাকে। এসব এলাকার বাগানে বাগানে ঝুলছে লাল-লাল পাঁকা লিচু। বাগান থেকে লিচু কিনে নিতে রাজধানী ঢাকা সহ দুর-দুরান্ত থেকে সৌখিন ক্রেতারা এসে লিচু কেনার জন্য ভীর জমাচ্ছে। দামের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে এসব ক্রেতারা লিচুর স্বাধ নিতে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সোনারগাঁও পৌরসভার ভট্রপুর গ্রামের লিচু বাগান মালিন হাজী আনিছুর রহমান খাঁন বলেন, প্রখর খরার কারণে এবছর লিচুর ফলন তেমন একটা ভালো হয়নি। লিচুর আকার ছোট হয়েছে। লিচু মিস্টিও কম হয়েছে। এদিকে আবার বাজারে লিচু আসার সাথে সাথেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় লিচুতে পোকা হয়ে যাবে। একারনে লিচু ব্যবসায়িরা লোকসানে পারতে পারেন।
ভৈরব উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন ও খুলনার ফুলতলা উপজেলার শিরমনি গ্রামের মাহফুজুর রহমান এই দুই বন্ধু এসেছিলেন লিচু কেনার জন্য সোনারগাঁও পৌরসভার ষোলপাড়া এলাকায়। তারা বলেন, সোনারগাঁয়ের লিচুর একটা ঐতিহ্য আছে। বছরের শুরুতে সোনারগাঁয়ের লিচু বাজারে আসার কারণে এর স্বাধ নিতে আমাদের খুর আগ্রহ থাকে। আর এই আগ্রহের কারনেই এত দূর থেকে লিচু কিনে নিতে এসেছি।
সোনারগাঁয়ের সামাজিক সংগঠন কৃষ্ণপুরা অর্নিবাণ সংসদের প্রথম যুগ্ম-আহবায়ক আতা রাব্বী জুয়েল বলেন, রাজশাহীর আম, পদ্মার ইলিশ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার, ফল-ফলাদী এবং প্রাণীর উন্নয়নের উপর সরকার যেমন বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তেমনি সরকারের কৃষি বিভাগের উচিত সোনারগাঁয়ের লিচুর উন্নয়নের উপর কাজ করা। কারণ সোনারগাঁয়ের লিচু মৌসুমের প্রথম বাজারে আসায় ক্রেতার কাছে এই লিচুর প্রচুর চাহিদা থাকে। পাশাপশি এর একটা ঐতিহ্যও তৈরী হয়েছে। কৃষি বিভাগ এর উন্নয়নে কাজ করলে সোনারগাঁয়ের লিচু চাষির সংখ্যা আরও বারবে এবং লিচু চাষিরা লিচু চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে। কৃষকও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কর্যালয় সূত্রে জানাযায়, এবারে খরার কারণে লিচুর ফলন তেমন একটা ভালো হয়নি। সময় মতো বৃষ্টি হলে ফলন আরো ভালো হতো। লিচুর উন্নয়নে সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তারা জানায়।