রামুতে ইপসার প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় ইউএনও রাশেদুল ইসলাম

এফএনএস (সোয়েব সাঈদ; রামু, কক্সবাজার) : : | প্রকাশ: ১৭ মে, ২০২৪, ১২:০১ পিএম

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, উপকূলীয় জেলাসমূহের মধ্যে কক্সবাজার একটি ঝূঁকিপূর্ণ অঞ্চল। নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ এ অঞ্চলের মানুষকে বিপর্যস্ত করে তুলে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে স্বোচ্ছার ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। "বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জনগণের জন্য স্থিতিস্থাপক বসতবাড়ি এবং জীবিকা সহায়তা" (আরএইচএল) প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব ও অসহায় মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব। এ প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সরকারি পরিকল্পনা ও নীতিমালার সাথে খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি বিভাগ থেকে এ প্রকল্পকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।

রামুতে বেসরকারি সংস্থা ইপসার উদ্যোগে "বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জনগণের জন্য স্থিতিস্থাপক বসতবাড়ি এবং জীবিকা সহায়তা" (আরএইচএল) প্রকল্পের  ইনসেপশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও রাশেদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে সকাল সাড়ে দশটায় রামু উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে ইপসা'র প্রধান নির্বাহী বলেন "আরএইচএল প্রকল্পটি উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি আরও প্রতিরোধী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা এই প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং অন্যান্য সকলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

ইপসা কক্সবাজার এর ফোকাল পারসন মোহাম্মদ হারুনের সঞ্চালনায় অবহিতকরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ইপসা রোহিঙ্গা রেসপন্স কর্মসূচির প্রধান মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম। এতে মূল প্রবন্ধ ও প্রকল্প পরিচিতি উপস্থাপন করেন ইপসা'র পরিচালক মোহাম্মদ শাহ্জাহান। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল বাড়ি নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ/বসতভিটা উঁচু করণ করা হবে; কাঁকড়া হ্যাচারি নার্সারি স্থাপন করা হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কাঁকড়া চাষ করা হবে; মাচা পদ্ধতিতে ছাগল/ভেড়া পালন করা হবে; বসতবাড়ীর আঙিনায় লবণাক্ততা সহনশীল সবজি চাষ করা হবে এবং বাড়ির আঙিনায় গাছ রোপণ এবং কাঁকড়া ঘেরে ম্যানগ্রোভ বনায়ন করা হবে। এ প্রকল্পে সাতটি উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনার আনুমানিক ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৫ জন লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আল গালিব, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুশান্ত দেবনাথ, খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হক, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রীনা,  রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, অর্থ সম্পাদক ওবাইদুল হক নোমান, উপজেলা মেরিন ফিশারীজ অফিসার ফারুক হোসেন, উপ সহকারি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শাহাদাৎ করিম, উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, অর্ণব কক্সবাজার এর ফোকাল পার্সন কাইয়ুম উদ্দিন, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনোয়ারা ইসলাম নেভীসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সভা জানানো হয়, এই প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখোমুখি উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা উন্নত করার জন্য জি.এসসি.এফ-এর অর্থায়নে এবং পিকেএসএফ-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে। আরএইচএল প্রকল্পটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করতে এবং চরম জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় তাদের উন্নত ও টেকসই জীবিকার উপায় প্রদান করার লক্ষ্যে রামু উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW