চাটমোহরের খলিশাগাড়ী জলমহালের ইজারা বাতিল

এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) : : | প্রকাশ: ২১ মে, ২০২৪, ০৩:১৮ এএম

পাবনার চাটমোহর উপজেলার খলিশাগাড়ী জলমহালের ইজারাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। হাইকোর্ট কর্তৃক উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর ইজারা বাতিল করার পর থেকে বিলপাড়ের গ্রামে এই ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। হতাশ হয়ে পড়েছেন এই সমিতির সুফলভোগি প্রকৃত মৎস্যজীবিরা।  

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর ২৫ জন সদস্যের মধ্যে ১৪ জন সদস্য মৎস্যজীবি কার্ডধারী। বাকিরা এলাকার প্রকৃত মৎস্যজীবি। চলতি বছর এই সমিতি টিএসকেস নং ৩১ ভুক্ত খলিশাগাড়ী জলমহাল ইজারা পেয়েছিল। ইজারা পাওয়ার পর উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর পক্ষে ইজারা মূল্যসহ আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকা গত ১৬/০১/২০২৪ ইং তারিখে সোনালী ব্যাংক লিঃ,জেলা বোর্ড শাখা, পাবনায় চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। এরপর সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির ৭৫তম সভায় জলমহালটি ১৪৩১-১৪৩৬ বঙ্গাব্দ মেয়াদে বার্ষিক ১৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ইজারামূল্যে উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডকে ইজারা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমিতির সাথে জলমহাল লীজের চুক্তিনামা সম্পাদন করেন। 

এদিকে সরকারি রাজস্ব কম দিয়ে দরপত্র দাখিল করে ইজারা না পেয়ে আরেকটি মৎস্যজীবি সমিতি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে। শুনানী শেষে গত ১৫ মে হাইকোর্ট উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর অনুকূলে দেওয়া ইজারা বাতিল করেন বলে জানা যায়। একইসাথে পুনরায় দরপত্র আহবান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন ইজারাপ্রাপ্ত মৎস্যজীবি সমিতির প্রকৃত মৎস্যজীবিরা। 

উত্তর সেনগ্রাম নটাবাড়িয়া খলিফাপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সম্পাদক মোঃ আজাদ হোসেন বলেন, আমরা সমিতির সকলেই প্রকৃত মৎস্যজীবি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে সব জানেন। এলাকার লোকজনসহ চাটমোহরবাসী জানেন,আমরাই প্রকৃত মৎস্যজীবি। তিনি বলেন, ইজারা মূল্য জমা দেওয়ার পর সমিতির সদস্যরা ২২ লক্ষাধিক টাকার জালসহ উপকরণ কিনেছেন। তারা সরকারের কাছ থেকে বিলের দখলও বুঝে পান। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে ইজারা বাতিল করায় মৎস্যজীবিরা চরম ক্ষতির সম্মুখিন। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান। 

এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আঃ মতিন বলেন, আমি প্রতিবেদনে কার্ডধারীদের নিবন্ধিত মৎস্যজীবি এবং কার্ডবিহীনদের অনিবন্ধিত মৎস্যজীবি হিসেবে উল্লেখ করেছি। কাউকে অমৎস্যজীবি বলঅ হয়নি।   

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW