গজারিয়ায় বসত ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ বর্তমানে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আমাদের কাছে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বসত ঘর থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানান তারা। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলছে পুলিশ। দাম্পত্য কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা তাদের। নিহত গৃহবধূর নাম সুরভী আক্তার (২৩)। তিনি গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে শাহ আলমের সাথে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দুদ মিঞার মেয়ে সুরভীর বিয়ে হয়। পাঁচ বছরের সংসার জীবনে তাদের তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে। সম্প্রতি স্বামী শাহ আলম ঋণগ্রস্ত হয়ে যাওয়ায় এবং প্রতিবেশী এক মেয়ের সাথে প্রেমের গুঞ্জন ওঠায় প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। সুরভীর মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে তার বাবার বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। বিষয়টিকে তারা পরিকল্পিত হত্যাকা- দাবি করে ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.আশরাফুল ইসলাম শুভ বলেন, দুপুর একটা দিকে ওই গৃহবধূকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা তাকে মৃত ঘোষণা করি। হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ বর্তমানে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আমাদের কাছে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।