গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান তালুকদার চঞ্চল এই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরী বিদ্যালয়টির পূরাতন ১টি পাকা টিনসেট ঘর, ২টি টিনসেট ঘর ও ১টিনসেট মসজিদ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রিসহ বিভিন্ন উন্নয়নে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে আমরা প্রমান পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরী ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়টির শিক্ষক সুবীর চন্দ্র বিশ^াসসহ কয়েকজনকে বহির্গমন ছুটি দিয়েছেন। যাহা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত।
কামরুজ্জামান তালুকদার চঞ্চল বলেন, নিহার রঞ্জন বারুরী একজন অযোগ্য প্রধান শিক্ষক। তিনি একটি প্রকাশনী থেকে কমিশন পেয়ে বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে গাইড বই তুলে দেন। এই প্রকাশনীর দেওয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। অনেক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। আবার সেই ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা দিন দিন মেধা শূণ্য হয়ে পড়ছে। তাই আমরা এই অযোগ্য দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করছি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক অভিভাবক বলেন, নিহার রঞ্জন বারুরী একজন অযোগ্য প্রধান শিক্ষক। তিনি এর আগে ধারাবাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। আমার মনে হয় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কোন ক্লাসের কোন বিষয়ে তাকে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে দিলে তিনি পড়াতে পারবে না। এই অযোগ্য প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়টিতে কি ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তাহা আমাদের বোধগম্য নয়। তাই আমরা এলাকাবাসী এই অযোগ্য প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চাই।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি কোন অনিয়ম বা দূর্নীতির সাথে যুক্ত নাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সিদ্দিক নূর আলম বলেন, পিঞ্জুরী ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরীর বিরুদ্ধে আমরা এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।