ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ খাজে আহম্মেদ এবং কচুয়ায় মোঃ মাহবুব আলম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। যাদেরকে ইভিএমে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।
৫ জুন বুধবার রাতে এই ফলাফল মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল বারী এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রায়হান আরোফিন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে দুই উপজেলার মোট ২২৮টি কেন্দ্রে প্রথমবরের মতো ইভিএম মেশিনে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। যেখানে দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বমোট ২৩ জন প্রার্থী। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অবাধ পরিবেশে করতে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীগণ।
এক তথ্যে দেখা যায়, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে খাজে আহম্মদ মজুমদার চিংড়ি মাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬২ ২৮৪ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মোঃ আমীর আজম রেজা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৪১ ভোট। এতে বিশাল ব্যাবধানে জয়লাভ করেছেন খাজে আহম্মদ মজুমদার। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের আকবর হোসেন মনির এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যামেরা প্রতীকের মাজুদা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।
অপর দিকে জেলার কচুয়া উপজেলাতে মোঃ মাহবুব আলম টেলিফোন প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৩৯ পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ উপজেলায় তার নিকটতম অন্যান্য প্রতিদ্বন্দীদের মধ্যে ফয়েজ আহম্মেদ আনারস প্রতীকে ১০ হাজার ২৫৫ ভোট, মোঃ মঈন উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে ২ হাজার ৭০ ভোট, মোঃ শাহজাহান কাপপিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ১৭০ ভোট, সোহরাব হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২১ হাজার ২৩৩ ভোট এবং মোঃ আইয়ুব আলী পাটোয়ারী দোয়াত কলমে ৭৯৮২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীকের মোঃ শাহজালাল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল মার্কার জোৎস্না আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে পরিদর্শনকালে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছিলো। কোন রকমের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হচ্ছে। ভোটারদের কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার শেষ সময় পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিটি কেন্দ্রে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন ইউনিট নিরাপত্তাজনিত কাজে নিয়োজিত ছিলো।