গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মজুমদারে কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বিকেল পৌনে ৪টারদিকে মজুমদার হাট সংলগ্ন পরিত্যক্ত জমিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( এ-সার্কেল) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ, উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম, থানার ওসি মো. মাহবুব আলম প্রমুখ।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় মজুমদারে হাট-বাজার চলে আসছিল। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে গত বুধবার মজুমদার হাট অদুরে পশুর হাট বাসানো হয়। পশুর হাট অবৈধভাবে বসানো হয়েছে মর্মে বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পশুর হাট পন্ড করে দেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়।
এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ হাটে আসা অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পশু কিনতে আসা গ্রাহক সুজন মিয়া জানান, পুলিশ অন্যায় ভাবে হাটে প্রবেশ করে পশুর হাট পন্ড করে দেয়। এতে করে কয়েটি গরু ও ছাগল হারিয়ে গিয়েছে এবং অনেকের টাকা পয়সা ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন খোয়া গেছে। হাট ইাজারাদার মাইদুল ইসলামের ভাষ্য, মজুমদার বাজারে পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ নাই, সে কারণে কোরবানির পশুরহাট বসানো হয়েছে। তারপরও কেন পশুর হাট বসানো যাবে না? সেই মর্মে হাইকোটের একটি লিগ্যাল নোটিশ উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে দেয়া হয়েছে।
এরপরও বেআইনি ভাবে পশুর হাট পন্ড করে দেন পুলিশ। থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জানান, অনলাইন সেবা ৯৯৯ এ বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিত্বে পুলিশ কোরবানির পশুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু জনতা পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে এবং ৪ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, কেন মজুমদার হাটের ইজারাদার কোরবানির পশুর হাট বসাতে পারবেন না, সে মর্মে হাইকোর্ট একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপির মতামতের জন্য পাঠিয়েছি। কিন্তু মতামত না পাওয়ার আগেই অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।