পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মানুষ এখন ব্যস্ত সবাই কোরবানি নিয়ে। কিন্তু সৈয়দপুর উপজেলায় কোন হাট না থাকায় পশু কিনতে হয় সৈয়দপুর উপজেলা সংলগ্ন নীলফামারীর ঐতিহ্যবাহী হাট ঢেলাপীর থেকে। ওই হাটে মন মত পশু না পেলে যেতে হয় পাশ্ববর্তী উপজেলা পার্বতীপুরের বেনির হাটে। আবার কখনো যেতে হয় চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর হাটে। কেউ কেউ রংপুরের তারাগঞ্জ হাট থেকেও পশু ক্রয় করে থাকে।
বর্তমানে কুরবানীর পশুর হাট জমে উঠলেও চলছে ক্রেতার অভাব। ক্রেতা না থাকায় অনেকে গরু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।
সৈয়দপুর দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় ৪ লাখ মানুষের বসবাস। এ উপজেলায় ছোট ছোট বেশ কয়েকটি হাট ছিল। আজ ওই হাটগুলো বিলীন হয়ে গেছে। ঠিকে আছে মাত্র পোড়ারহাট,হাজারীহাট,সিপাইগঞ্জ। তবে এগুলো হাট বলা যাবে না এটি ছোট বাজার। তাই ঈদ এলে পশু ক্রয় নিয়ে সৈয়দপুর উপজেলার মানুষকে যেতে অন্য জেলা উপজেলার হাটে।
ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এরইমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে হাটে। ৬ জুন শুক্রবার হাটের দিন ঢেলাপীর হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু-ছাগল উঠতে দেখা গেছে। এবার বিদেশী গরুর অভাব থাকলেও দেশী-গরু, ছাগল, ভেড়াসহ পশুর সংখ্যা পর্যাপ্ত পরিমান থাকলেও দাম একটু বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তারা বলছেন গত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশী।
নীলফামারী জেলার সর্ব বৃহৎ পশুর হাট ঢেলাপীর। এ হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশী বিভিন্ন সাইজের গরু ও ছাগল বাজারে উঠেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে এ হাটে বিক্রেতারা নিয়ে এসেছেন গরু-ছাগল। এখনো নসিমন, ট্রাক ভরে আসছে গরু। একটি মিডিয়াম সাইজের আঁড়িয়ার এবার দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ হাজার বেশি। কাশিরাম থেকে নিয়ে আসা দুলাল হোসেন তার পৌষ্য আঁড়িয়ার দাম রেখেছেন ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। এটি ঢেলাপীর হাটে উঠা এই পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি দামের গরু।
ক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, জেলার সবচেয়ে বড় এই হাটে এ বছর গরুর দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তিনি বলেন গত বছরের তুলনায় এবছর দাম বেশি। সে তুলনায় হাটে ক্রেতা এখন তেমন নেই।
দিনাজপুরের রানীরবন্দর থেকে আসা পশু ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম জানান,পশুর আমদানি খুব কম। বলতে গেলে পাশ্ববর্তী দেশ থেকে গরু আসছে না। সে অনুযায়ী হাটে শুধুমাত্র দেশি গরু থাকায় বিক্রি হচ্ছেনা। তাছাড়া প্রচন্ড গরমে অনেকে গরু মৃত্যুর কারণ হতে পারে এমন ভেবে হাটে গরু তুলছেন না।
গরু ব্যবসায়ী সাবুল জানান, মানুষ ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে পশু খুঁজছেন। কিন্তু ওই দামে কোন গরু মিলছে না। ফলে বাজেট না থাকায় অনেকে হাট থেকে ফিরে যাচ্ছেন।
গরু হাটের ন্যায় ছাগলের হাটেও ক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। একটি মেডিয়াম সাইজের ছাগলের দাম ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।
শামসুল হক জানান, হাটে ক্রেতাদের তেমন ভীড় নেই। তবে আগামী শুক্রবার আরো দুটি হাট থাকায় তখন ভিড় হবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।
ক্রেতা আশরাফুল হক জানান এবার ঢেলাপীর হাটে গত বছরের তুলনায় গরু ছাগল বিক্রির রশিদ বাবদ অর্থ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বছর গরু প্রতি রশিদ মূল্য ২৫০ আর ছাগলের ১০০ টাকা হলেও এবার নেওয়া হচ্ছে বেশী।