টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নে গৃহবধূ খাদিজাকে মারধরের পর হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ স্বামী রুবেলের বিরুদ্ধে। পরে থানা পুলিশ কে না জানিয়েই হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ঘরোয়া সালিশ ও নগদ টাকা জরিমানা করেন গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে! নিহত গৃহবধূ গাবসারা ইউনিয়নের নিকলা পাড়া গ্রামের মিনা বেপারির মেয়ে খাদিজা (১৯) ও হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী একই ইউনিয়নের মেঘারপটল গ্রামের কুদ্দুসের ছেলে রুবেল (২০)।
নিহত গৃহবধূর পরিবারের নিকট থেকে জানা যায়, ৭ বছর আগে খাদিজা ও রুবেলের বিয়ে হয়। তাদের ৪ বছরের ১টি মেয়ে সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী রুবেল বিভিন্ন সময় খাদিজাকে মারধর করত। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার ঘরোয়া সালিশও করেছে তাদের পরিবার।
পরে গত ১৫ জুন শনিবার সকালে স্বামীর বাড়ির প্রতিবেশীর নিকট থেকে খবর আসে গৃহবধূ খাদিজা আত্মহত্যা করেছে। পরে খাদিজার বাবা মিনা বেপারি স্বজনদের নিয়ে স্বামী রুবেলের বাড়িতে যায়। মেয়ের শরীরে মারধরের চিহ্ন দেখে ও প্রতিবেশীর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন এটি আত্মহত্যা নয় বরং হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন স্বামী রুবেল। পরে ঝুলন্ত লাশ রেখে পালিয়ে যায় স্বামী রুবেল ও তার পরিবার।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা থানা পুলিশ কে না জানিয়েই গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ বাদ দিয়ে আত্মহত্যা বলে ঘরোয়া সালিশ করে সমাধান দেন। এতে স্বামী রুবেল কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে মেয়ের বাবাকে ছয় আনি স্বর্নের দাম মাত্র ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
গৃহবধূর বাবা মিনা বেপারি বলেন, আমার মেয়েকে মারধরের পর হত্যা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান শাপলা দরবার করে আমাকে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে মিমাংসা করতে বলে। আরও বলে আমার মেয়ে পাগল তাই আত্মহত্যা করেছে। প্রশাসনের কাছে আমি রুবেল সহ তার পরিবারের কঠিন বিচার চাই।
চেয়ারম্যান শাহআলম আকন্দ শাপলা বলেন, মেয়েটা পাগল ওর মাথায় সমস্যা ছিল তাই আত্মহত্যা করেছে। দুপক্ষ নিয়ে ঘরোয়া সালিশ বসে সমাধান করা হয়েছে। ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে মেয়ের বাবা।
ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনা শুনেছি৷ মেয়ের পরিবার অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।