দোয়ারাবাজারে একে একে ডুবছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট,পুকুর

এফএনএস (মোঃ রফিকুল ইসলাম; দুয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ) : : | প্রকাশ: ১৮ জুন, ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার 
সবক’টি নদণ্ডনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একে একে ডুবছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। বসতবাড়ি ও দোকানপাটে পানি উঠায় আসবাবপত্র, দোকানের মালামাল ও মূল্যবান জিনিসপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার কবল থেকে বাঁচতে দল বেঁধে পানিবন্ধীরা ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। এদিকে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দোয়ারাবাজার উপজেলার সাথে সবক’টি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।  

জানা যায়, সীমান্তের ওপার থেকে বয়ে আসা খাসিয়ামারা নদীর উপচেপড়া স্রোতে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, ইদ্রিসপুর, চৌকিরঘাট বেড়িবাঁধ ভেঙে বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশ করায় ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। আমনের বীজতলা, আউশ ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বোগলাবাজার ইউনিয়নের  ক্যাম্পের গা
ঘাট নামক স্থানে চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাও-টেংরাটিলা যাতায়াতের রাস্তা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে, মহব্বতপুর বাজার-লিয়াকতগঞ্জ বাজার সড়কে নোয়াপাড়া নামকস্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলা সদরের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ২৮টি ও সুরমা ইউনিয়নের ৫টি গ্রামসহ সীমান্তের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মৌলারপাড়, চিলাইপাড়, পুরান বাঁশতলা গ্রামের অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সদর ও মান্নারগাঁও ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম প্লাবিত। 

দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু  জানান, সীমান্ত ইউনিয়নগুলোতে উজানের পানিতে বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এজন্য আমারা ২৫ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে,সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৯ ও দোয়ারাবাজার ১৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২০২২ সালের মত প্রলয়ংকারী বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছেন সুনামগঞ্জবাসী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW