রাস্তা নয়, এ যেন এক মরণফাঁদ। রাস্তা জুড়ে খানাখন্দে ভরপুর। ১৪ কিলোমিটার এ রাস্তার খানিকটা পথ এগুলোই দেখা মেলবে একের পর এক খানাখন্দ। আবার কতেক যায়গায় রাস্তার পাশে ভেঙ্গে গোলাকার বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা লাল নিশান টানিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে লাগাতার বৃষ্টিতে খানাখন্দ গুলোতে পানি জমে রয়েছে। এতে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে পথচারীদের। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ফুলবাড়িয়া টু গাড়োহাট সড়কের এ বেহাল অবস্থা।
জানাগেছে, ২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর তত্বাবধায়নে এ সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সংস্কার কাজের বছর শেষ না হতেই সড়কটির বিভিন্ন যায়গায় ইট, সুরকি,পাথর ও বিটুমিন উঠে ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহন চালক ও পথচারীরা।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা সদরে পৌছার একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
আরিফ ও সাদিক বলেন, প্রতিবছর রাস্তা মেরামত করলেও এ রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমাদের হাসপাতালে যাওয়ারও একমাত্র যোগাযোগের পথ এটি। রাস্তা বেহালের ফলে কেউ অসুখবিসুখ হলে চিকিৎসা নিতে রোগী ও স্বজনদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ছাড়া এ রাস্তায় প্রায়ই ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
সুহেল মিয়া নামে এক সিএনজি চালক বলেন, রাস্তায় পানি আটকে থাকায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যে সকল স্থানে গর্ত ও খানাখন্দ সেখানে আরসিসি ঢালাই করলে আর এমন ভোগান্তি দেখা দিতো না।
শিক্ষক আতিকুল হাসান বলেন, বর্ষাকালে এ রাস্তা আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। বৃষ্টির সময়ে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অতিদ্রুত স্থায়ীভাবে এর একটা বিহিত করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, বর্ষায় যে সকল রাস্তা ক্ষতি হয়েছে তা জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য তালিকা করে প্রস্তাবনা পাঠানো পক্রিয়াধিন রয়েছে।