পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার মানদণ্ড: পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে! 

সম্পাদকীয় : | প্রকাশ: ৩১ জুলাই, ২০২৪, ০৬:২৭ এএম

গেলো করোনা মহামারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক দিন ধরে বন্ধ ছিল। এতে শিক্ষা ক্ষেত্রে সেশনজটসহ শিক্ষার মান উন্নয়নেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাতে শিক্ষার্থীদের  পড়ালেখায় অনীহা এসেছিল। যার ফলে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। শুধু যে শিক্ষাতে পিছিয়ে পড়েছেন তা কিন্তু নয়, সময়েও অনেক পিছিয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। মহামারি শেষ হয়েছে তাই এখন এই পিছিয়ে পড়া থেকে উত্তরণের সময়। সে দিক বিবেচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো এই উত্তরণের সময়ে এসেও শিক্ষা ক্ষেত্রে পড়েছে নৈতিবাচক প্রভাব। বলছি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ১ জুলাই থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। ৭ জুলাই বাংলা ব্লকেট কর্মসূচি দেওয়া হয়। ঐ আন্দোলন থেকে দেশ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অস্থিরতা। এই আন্দোলনকে ঘিরে একের পর পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কবে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশে ফেরা যাবে তা নিয়ে রয়েছে নানা শঙ্কা। শিক্ষার্থীও অভিভাবকেরা চাইছেন দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ক্লাসের কার্যক্রম শুরু করার জন্য। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। এর আগে গত ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতিতে ছিলেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। কর্মবিরতির কারণে  বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কয়েক’শ পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। তেমনি স্থগিত রয়েছিল ক্লাসও। এই স্থগিত পরীক্ষা ও ক্লাস পুষিয়ে স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসতে অনেক সময় লাগবে। ফলে সেশনজটের কবলে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে কী এভাবেই স্থবির হয়ে থাকবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা? শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড আর এই জাতির মেরুদণ্ডে ধ্বংস ভয়ে আসছে! যদি দ্রুত শিক্ষাই সুব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় সরকার তবে এর পরিণতি খুবই ভয়াবহ হতে পারে। আমরা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি চাই না। আমরা চাই শিক্ষার আলোই আলোকিত হোক আমাদের দেশ। শিক্ষার আলো ফিরিয়ে আনতে সরকারকে কঠোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশের সহিংসতারোধ করে দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন স্বাভাবিকভাবে পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া পুষিয়ে আনতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে কৌশলী পথ অবলম্বন করতে হবে শিক্ষাব্যবস্থায়। পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারকে নজরদারি বাড়াতে হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW