প্রথম দুই ম্যাচে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পর সবশেষটিতে খানিকটা খরুচে ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ফের স্বরূপে ফিরলেন তিনি। দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে অল্পে বেঁধে রাখতে রাখলেন বড় অবদান। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে উইকেটের দেখা পেলেন সাকিব আল হাসানও। হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ পেল তাদের দল। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে বুধবার সারে জাগুয়ার্সের বিপক্ষে সাকিব-শরিফুলদের বাংলা টাইগার্স মিসিসাগার জয় ৪ উইকেটে। একটা পর্যায়ে ৪৬ রানে ৮ উইকেট হারানো সারে শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে করে ১০১ রান। বাংলা টাইগার্স একটা সময়ে চাপে পড়লেও লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৬ বল হাতে রেখে। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল। ‘ডট’ বল খেলান তিনি ১৪টি। আসরে প্রথম তিন ম্যাচে তার শিকার ছিল একটি করে উইকেট। সাকিব এদিন ৪ ওভারে ২১ রানে নেন ২ উইকেট। ব্যাটিংয়ে অবশ্য ভালো করতে পারেননি তিনি। বিশ ওভারের ক্রিকেটে টানা চার ম্যাচে দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে আউট হওয়ার পর গত ম্যাচে ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ২৪ রান করেছিলেন সাকিব। এবার ৭ বলে করতে পারেন মাত্র ১ রান। ব্র্যাম্পটনে সারের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে পেয়ে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন শরিফুল। তৃতীয় বলে তিনি ফিরিয়ে দেন সুনিল নারাইনকে। লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় বল আকাশে তোলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। ওভারে স্রফে ২ রান দিয়ে উইকেটটি পান শরিফুল। পাওয়ার প্লেতে নিজের দ্বিতীয় ওভারেও আঁটসাঁট বোলিং করেন তিনি, এবার দেন ৩ রান। সাকিব বল হাতে নেন অষ্টম ওভারে। দ্বিতীয় বলে চার হজম করলেও এক বল পর তিনি ফেরান ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলানকে, স্টাম্পড হন এই স্কটিশ ব্যাটসম্যান। ওভারে ৫ রান দিয়ে উইকেটটি নেন সাকিব। দশম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান শরিফুল। তার অফ স্টাম্পের বলে কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন হামজা তারিক। নিচু হওয়া ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন হারমিত সিং। হ্যাটট্রিক না হলেও কোটার শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন শরিফুল। চতুর্দশ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে সাকিব দেন ৫ রান। নিজের পরের ওভারে তৃতীয় বলে একটি চার হজম করেন তিনি। তবে ওভারের শেষ বলে সেই ব্যাটসম্যান মার্কাস স্টয়নিসকে বোল্ড করে দেন বাঁহাতি স্পিনার। এই ওভারে তিনি দেন ৬ রান। কোটার শেষ ওভারে আরেকটি চার হজম করে ৫ রান দেন সাকিব। স্টয়নিস ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে ফেরার পর সারে একশ ছাড়াতে পারে মূলত লোগান ফন বিকের নৈপুণ্যে। ৩৭ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এই দুজন ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেননি দলটির আর কেউ। রান তাড়ায় সপ্তম ওভারে ২৭ রানে দলের দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর উইকেটে যান সাকিব। তবে টিকতে পারেননি তিনি। অফ স্পিনার নারাইনকে সুইপ করে বাউন্ডারির কাছে ধরা পড়েন বাংলাদেশের তারকা। ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ডেভিড ভিসা। ২ ছক্কা ও এক চারে ১৯ বলে সর্বোচ্চ ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। এর আগে বোলিংয়ে ১৭ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতেই। হারে আসর শুরুর পর টানা তৃতীয় জয়ে ছয় দলের পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলা টাইগার্স।