যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপপরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

এফএনএস (শহিদুল ইসলাম শাহিন; পঞ্চগড়) : : | প্রকাশ: ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম

পঞ্চগড় জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যানবাহন চালনা প্রশিক্ষণ প্রকল্পে সরকারী বিধি-নিষেধ না মেনে পরিচালনা করেছেন নিজের মত করে। যেখানে আবাসিক প্রশিক্ষণার্থী না থাকলেও প্রকল্পের শুরু থেকে আবাসিক প্রশিক্ষণার্থীর টাকা গ্রহণ করা, মাসের পর মাস প্রশিক্ষণার্থীর লার্নার লাইসেন্স ও ডোপটেস্টের বরাদ্দ আটকে রাখা, দুটি গাড়ির পরিবর্তে অধিকাংশ সময় একটি গাড়ি ব্যবহার করাসহ অতিথি ভবনে ভাড়া নিয়মিত পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, দেশে পরিবহন খাতে দুর্ঘটনা রোধে দক্ষ গাড়িচালক তৈরির মাধ্যমে যুবদের জন্য পরিবহন খাতে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক যানবাহন চালনা প্রশিক্ষণ চালু করা হয়। প্রকল্পের আওতায় ৪০টি জেলায় ৬৪টি জেলার বেকার যুবদের ১মাস মেয়াদি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হলেও পরবর্তিতে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতি ব্যাচে ২০জন আবাসিক প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির সুযোগ পায়। নির্দেশনা অনুযায়ী অনাবাসিক প্রশিক্ষণার্থীকে দৈনিক ১৫০ টাকা ও আবাসিক প্রশিক্ষণার্থী দৈনিক ২৫০ টাকা হারে প্রদান করতে বলা হয়। তবে আবাসিক সুবিধা চালু হওয়ার পর থেকে পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে যানবাহন চালনা প্রশিক্ষণে কোন আবাসিক প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি না হলেও মাসের পর মাস তিনি ২০জন আবাসিক প্রশিক্ষণার্থী দেখিয়ে টাকা গ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য একটি অটোগিয়ার ও একটি ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ সময় একটি গাড়ি ক্রটিপূর্ন দেখিয়ে একটি গাড়িতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এতে ৭ মিনিটের জায়গায় ৩-৪ মিনিটের বেশি সময় পান না বলে জানান ভুক্তভোগী প্রশিক্ষণার্থীরা। গাড়িতে ব্যবহৃত জ্বালানীর খরচ কমিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ নিজের পকেটস্থ করতেই একটি গাড়ি নষ্টের অজুহাতে বন্ধ রাখতেন বলে জানান তারা।  প্রশিক্ষণার্থীদের কোর্স শুরুর ৫দিনের মধ্যে লার্নার লাইসেন্স নিশ্চিত করার কথা থাকলেও প্রশিক্ষণার্থীদের একটি বড় অংশ এখনও লার্নার লাইসেন্স বা ডোপটেস্ট করা হয়নি।

এছাড়াও তিনি পঞ্চগড়ে যোগদানের পর থেকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অতিথি ভবনের ভিআইপি কক্ষে বসবাস করে আসলেও ভাড়া প্রদান করেছেন আংশিক। ছুটির দিন ছাড়া অফিস চলাকালীন সময় পুরো মাস ব্যবহার করলেও ভাড়া পরিশোধের চালানে তিনি ভাড়া প্রদান করেছেন প্রায় প্রতি মাসে ৭-৮ দিনের। 

এব্যাপারে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: মকছুদুল কবীর বলেন, আবাসিক প্রশিক্ষণার্থীর টাকা প্রশিক্ষণার্থীদের ডেকে এনে বন্টন করে দেওয়া হবে। যুব মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে, তাৎক্ষনিক মত পাল্টে তিনি বলেন, টাকা ফেরত পাঠানো হবে। লার্নার লাইসেন্স, ডোপটেস্টে কালক্ষেপন, একটি গাড়িতে প্রশিক্ষণ দিয়ে জ্বালানী তেল আত্মসাতের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে অতিথি ভবনের ভাড়া পরিশোধ করবেন বলে জানান তিনি।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW