বুধবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতিপক্ষের হামলায় হামিদুল ইসলাম গাইন (৪৮) ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম গাইন (৪৫) নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরো ৪ জন। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক। এদিকে খুনের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, মিরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল খালেক, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আওয়াল কবীরসহ পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের পর থেকে গ্রামে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি র্যাবের টহল রাখা হয়েছে। নিহত দুই ভাইয়ের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা দিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাদ আছর জানাযা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। হামলায় আহত ৪ জনের মধ্যে আজগর ও আসমতের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তারা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ তে) রয়েছেন বলে জানা গেছে। সাইফুল ও জামাল নামে দু’জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিন নিহত দু’জনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নিহত দুই ভায়ের বাড়ি পাশাপাশি। একই পরিবারের দু’জন হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ায় সেখানে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। বাড়ির শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সী সকলের কন্ঠেই কান্নার শব্দ। নিকট আত্মীয়রা পরিবারের সদস্যদের কোন ভাবেই শান্তনা দিতে পারছেন না। নিহত নজরুলের স্ত্রী রমেলা খাতুন বলেন, ক্ষেতের কাজ শেষ করে প্রতিদিনই তার স্বামী নজরুল স্থানীয় বাজারে যান। বুধবার বিকেলে তিনি বাজারে যায়। সন্ধ্যার সময় খবর আসে তার উপর হামলা করা হয়েছে। দৌড়ে বাজারে গিয়েও স্বামীর জীবিত মুখটি দেখতে পায়নি। হত্যাকারীদের শাস্তি দাবী করেন তিনি। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলেন এবং হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই হয়তো এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যার সাথে রাজনৈতিক ইস্যু আছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যান্যের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছে।