সাতক্ষীরার প্রাণকেন্দ্রে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খাল আবারও সংস্কার করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে সুলতানপুর বড়বাজার থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, খুলনা বিভাগের একমাত্র খাল হিসেবে প্রাণসায়ের খালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এখালের দু’মুখ মরিচ্চাপ ও বেতনা নদীতে মিশিয়ে দিয়ে খালের প্রবাহ সচল করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে প্রাণসায়ের খালকে। খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যে সৃজনশীল কাজ করা যায়, সেটি প্রমাণের সময় এসেছে। বুলডোজার দিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ। আর জনবল দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন বে-সরকারি সংস্থা। সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে আপাতত খাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। তবে আগামীতে দৃষ্টিনন্দনের জন্য বড় বরাদ্দের প্রয়োজন হলে ঊর্ধ্বতন মহলের সহায়তা চাওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাজে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, ১৮৫০ সালে সাতক্ষীরার তৎকালীন জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরী নদীপথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রাণসায়ের খাল খনন করেন। খালটির দৈর্ঘ্য ১৪ কি:মি:। দক্ষিণে মরিচ্চাপ ও উত্তরে বেতনা নদীর সাথে খালটি মিশেছে। তবে দু’মুখ ভরাট থাকায় প্রবাহহীন হয়ে পড়েছে খালটি। ২০২০ সালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে খালটি খনন করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ৪ বছর যেতে না যেতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয় সেটি। এ ছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শহরের পানি প্রাণসায়ের দিয়ে সরতে না পারায় পৌরশহরের অর্ধেক এলাকা এখনও জলমগ্ন রয়েছে।