বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ২০ জন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিজভী। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসব সাবেক সামরিক কর্মকর্তা বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। মতবিনিময়কালে রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বিচারকেরা অনেকেই রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেছেন। সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের কথা শুনে মনে হতো তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দিয়েছেন সাবেক গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান। ছাত্রলীগের ছেলেরা গিয়ে ফুল দিয়েছেন। পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। কর্তৃত্ববাদী সরকার তার কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে আইন, বিচার, প্রশাসন সবকিছুকে একাকার করেছিল। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একদিকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে, অন্যদিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে হবে। এই দুটি বিষয়কে সামনে রেখেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’ ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা হচ্ছে প্রতিদিন। এক দিন দুই দিন পরপর ঠাকুরগাঁয়ের সীমান্ত, লালমনিরহাটের সীমান্ত, হবিগঞ্জের সীমান্ত রক্তাক্ত হচ্ছে। ফেলানীর মতো অনেক কিশোরীর লাশ কাঁটাতারের ওপর ঝুলেছে। কিন্তু গত সরকার তার একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি।’ রিজভীর সঙ্গে সাক্ষাতে ছিলেন, এমন একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, মূলত রুহুল কবির রিজভী তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। সেখানে তিনি সবার খোঁজখবর নিয়েছেন। দু-একজন সাবেক কর্মকর্তা বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের দেশের প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিএনপিও দলকে শক্তিশালী করার জন্য সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের কাজে লাগাতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জহুরুল আলম, কর্নেল (অব.) আবদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আইয়ুব, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) নওরোজ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুস্তাফিজ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রাশেদ, মেজর (অব.) কোরবান আলী, মেজর (অব.) ছাব্বিরসহ ২০ জন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা মতবিনিময়ে অংশ নেন।