নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে দিনব্যাপী গ্রামীণ নারীদের উৎপাদিত হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এর আয়োজনে নোয়াখালী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, একশনএইড বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সার্বিক সহায়তায় এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এমেলায় ১৮ জন গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল নোয়াখালীর দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার জলবায়ু দূর্গত এবং জলবায়ু অভিবাসী নারীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এই প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। যার মধ্যে রয়েছে নকশি কাঁথা, ব্লক-বাটিকের তৈরি পরিধেয় বিভিন্ন কাপড়, শাড়ি, চুড়ি, মাটির তৈজসপত্র, দোলনা, খাদ্যসামগ্রী সহ নানা রকমের পণ্য। হাতিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা নারীদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে মনোসামাজিক সেবা, যৌনপ্রজনন সংক্রান্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, সচেতনতা কার্যক্রমের পাশাপাশি দক্ষতা-উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের আত্মোন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে ২০২৩ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে প্রান। এই কাজের ধারাবাহিকতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যকে বড় পরিসরে তুলে ধরতে নোয়াখালী জেলা প্রাণকেন্দ্র বিবি কনভেনশন হলে এই আয়োজন করা হয়। এই নারীদের পাশাপাশি প্রদর্শণীতে সংহতি জানাতে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলা থেকে বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন নাহার, এনআরডিএস এর নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়াল, এবং প্রান-এর কোষাধ্যক্ষ ও বন্ধন উন্নয়ন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুজ্জামান মিলন। এ সময় আবদুল আউয়াল তার বক্তব্যে বলেন, "গ্রামীণ নারীদের তৈরি এইসব হস্তশিল্পকে বৃহত্তর পরিসরে তুলে ধরতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এমন আয়োজন নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া নারীদের আত্মপ্রত্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রামীণ পণ্যের বাজার বিস্তৃত হবে, যা নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চানন্দী নারী নেতৃত্বাধীন কমিউনিটি সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাঁচজন নারীকে সেলাই সরঞ্জাম, বল্ক-বাটিক সরঞ্জামসহ স্তার্ট আপ কিট বিতরণ করা হয়। মেলাশেষে সেরা তিনটি স্টলকে সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে ১৩ জনকে লটারির মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।