প্রযুক্তি বাজারে পিছিয়ে থাকতে চায় কে? গুগল ও মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবার এআই প্রযুক্তির নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে মেটা। হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে ব্যবহার করা যাবে ‘মেটা এআই’ চ্যাটবট। ইন্টারনেট ঘেঁটে বিস্তারিত জানিয়েছেন আব্দুর রহমান সিয়াম। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাই এআই। মেটা তাদের নিজস্ব এআই-চালিত সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে, যাতে গুগল ও মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়। মেটার এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা সরাসরি বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। বর্তমানে ‘মেটা এআই’ চ্যাটবট ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ সংবাদ, শেয়ারবাজারের খবর এবং খেলাধুলার তথ্য জানাতে গুগল ও বিং-এর ওপর নির্ভরশীল। নতুন সার্চ ইঞ্জিন চালু হলে প্রতিষ্ঠানটি এসব তথ্য স্বাধীনভাবে প্রদান করতে পারবে, যা অন্যদের ওপর থাকা মেটার নির্ভরশীলতা হ্রাস করবে। মেটা আরও নিশ্চিত করেছে যে, ব্যবহারকারীদের নির্ভুল তথ্য প্রদান করার জন্য তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে চ্যাটবট বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে রয়টার্সের কনটেন্ট প্রদর্শন করবে। তবে মেটা তাদের এআই মডেল তৈরিতে ব্যবহৃত প্রশিক্ষণ ডেটা ও পদ্ধতি সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি, যা প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মধ্যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই, গুগল ও মাইক্রোসফট এআই খাতে আধিপত্য বিস্তারের জন্য কাজ করছে। এরই মধ্যে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিজেদের এআই মডেল ‘জেমিনি’ যুক্ত করতে কাজ করছে গুগল। অন্যদিকে ওপেনএআই নিজেদের বৃহত্তম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের তৈরি বিং সার্চ ইঞ্জিনে এআই প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে। এর ফলে বিং সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারছেন। এই পদক্ষেপ মেটার জন্য যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, তেমনি এটি বিশ্বব্যাপী এআই প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।