দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, হাফিজুর রহমান তালুকদারে কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা রায়হান মিয়া কে ও গ্রপ্তার করা হয়। সোমবার গভীর রাতে তাদের আটক করা হয়। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক দুজনের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলা রয়েছে। দুজন কে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, হাফিজুর রহমান তালুকদার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাথে ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপি তে যোগ দেন। যোগদানের পরেই বিএনপি হাফিজুর রহমানকে দলের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নামান। দিরাই উপজেলায় সাবেক এমপি নাছির চৌধুরীর ভোট ব্যাংক থাকায় এবং বিএনপির সকল স্থরের নেতাকর্মী নির্বাচনী মাঠে থাকায় সহজে জয় পেয়ে যান হাফিজুর রহমান তালুকদার। এর পর তিনি দিরাই উপজেলার সহসভাপতি মনোনীত হয়।
দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের ডুলপসি গ্রামের একটি মামলায় হাফিজুর রহমানকে আসামী করা হলে তিনি আবারো সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সাথে আওয়ামী লীগে চলে যান। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেননি বিএনপি ও তাকে বহিস্কার করেনি। উপজেলায় একটি আলোচনা ছিল তিনি একসাথে দুই দলের নেতা। বিএনপি ছেড়ে শেষ রক্ষা হয়নি হাফিজুর রহমান তালুকদারের। দিরাইর একটি জলমহালের আওয়ামী লীগে ও যুবলীগের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে তিনজন খুন হলে হাফিজুর রহমান তালুকদার ত্রিফল মাডারের আসামী হন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এ মামলার চার্জশীট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। এর পরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হাফিজুর রহমান তালুকদারকে মনোনয়ন না দিলে তিনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বলয় ছেড়ে দেন। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচেন তিনি জয়া সেনগুপ্তার বিরুদ্ধে প্রার্থী সাবেক আইজিপির ভাই আল-আমিনের সাথে নির্বাচনে মাঠে কাজ করেন।