দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জমি থেকে আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার বিভিন্ন মাঠে কৃষি শ্রমিক নিয়ে আলু তুলছেন কৃষকেরা। গত বছরের তুলনায় এবার আলুর ফলন ভালো হয়েছে তবে দাম কম থাকায় কৃষকেরা পড়েছেন মহাবিপদে। গত বছর এই সময় মাঠের মধ্যে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২২-২৫ টাকা পর্যন্ত গতকাল শনিবার মাঠে আলু বিক্রি হয়েছে ১১-১২ টাকা। উপজেলার বলরামপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আলম বলেন, আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু বাজারে দাম কম থাকায় আলু বিক্রি করে তেমন একটা লাভ থাকবে না। ডহচি গ্রামের কৃষক সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, আলুতে যে খরচ করা হয়েছে বিক্রি করে তেমন লাভের আশা করা যায় না। কারণ প্রতি কেজি বীজ ক্রয় করা হয়েছিল ৭৬টাকা কেজি। বীজসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেশি থাকায় খরচ বেশি হয়েছে। বাজারে আলুর দাম কম থাকায় উৎপাদন খরচবাদে লাভ থাকবে সীমিত। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আলুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২হাজার ২শত ২০হেক্টর জমিতে। কিন্তু এবার আলুর লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৪হাজার ১০হেক্টর জমিতে আলুর উৎপাদন হবে ১লক্ষ ১০হাজার মেট্রিকটন। কৃষি বিভাগ বলছেন, প্রতি হেক্টর জমিতে আলুর উৎপাদন হবে ২৫-২৬ মেট্রিক টন। উপজেলার হাটিয়ারি গ্রামের কৃষক হরিচরণের জমিতে আলুর উৎপাদন হয়েছে ২৭ মেট্রিক টন প্রতি হেক্টর। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহান বীশ বলেন, বর্তমানে বাজারে আলুর দাম কম থাকলেও উৎপাদন গতবারের তুলনায় এবার বেশি হয়েছে। জমিতে ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকদের লোকসান হবে না। কলেস্টরগুলিতে আলু রির্জাভ শুরু হলে ব্যবসায়ীরা মাঠে গিয়ে আলু ক্রয় করলে দাম বাড়বে। গতবারের তুলনায় এবার উপজেলায় আলুর আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত রেখেছেন।