আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবিতে খুলনায় জামায়াতের প্রেস ব্রিফিং

এফএনএস (এম এ আজিম; খুলনা) : | প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবিতে খুলনায় জামায়াতের প্রেস ব্রিফিং

কারাবন্দী জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতার এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক হয়েছে। ইতোমধ্যে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের খালাস দেয়া হয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলে এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিতে পারেন। তিনি অবিলম্বে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। সোমবার (১৭) সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শহীদ হাদিস পার্কের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলা জামায়াত এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতার অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলামও মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৮ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফলে জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

প্রেস বিফ্রিংয়ে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মহানগরী সহাকারী সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজি, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসাইন মিলন, বটিয়াঘাটা উপজেলা আমীর মাওলানা শেখ মো আবু ইউসুফসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, ২০১২ সালে এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সাজানো মামলা ও পাতানো বিচারের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। 

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, শহীদ পার্কের বিশাল সমাবেশে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা থেকে পৃথক পৃথক মিছিল হাদিস পার্কে আসবে। সেখানে প্রায় ৩০/৪০ হাজার মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছি। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এই সমাবেশে সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মহানগরী ও জেলায় মাইকিং করা হয়েছে। লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলো, ফেরীঘাট মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড় হয়ে মীর মুগ্ধ মোড়ে (শিববাড়ি) গিয়ে শেষ হবে। 


আপনার জেলার সংবাদ পড়তে