অযত্ন-অবহেলা-অবজ্ঞায় পড়ে আছে জামালপুরের মেলান্দহের মাহমুদপুর মহাশ্মশান। দেশ স্বাধীনেরও আগে স্থানীয় সমাজসেবক সেলিম মিয়া মহাশ্মশানের নামে ১০ শতাংশ জমি দান করেন। এটি মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ এবং ইসলামপুর এই তিনটি উপজেলার সীমান্তবর্তী মাহমুদপুরের ইমামাপুর এলাকায় অবস্থিত। সনাতন ধর্মাবলম্বিদের জন্য শ্মশানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে অস্থায়ী কিংবা ভ্রাম্যমান শ্মশানে শবদাহ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। শুধু মাহমুদপুর অঞ্চলেরই ৫-৬ শতাধিক লোক আছেন। এছাড়াও শ্মশানটি গড়ে ওঠলে ইসলামপুর-মাদারগঞ্জ এবং মেলান্দহের অন্যান্য অঞ্চলের সনাতনীদের অস্থায়ীভাবে শবদাহের সমস্যা দূর হবে। শ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্রীযুক্ত গোপাল চন্দ্র মালাকার, সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মালাকার জানান-দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের মহাশ্মশানটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। আমাদের কোন লোক ইহধাম ত্যাগকরলে সনাতন ধর্মের রীতিতে শবদাহ কাজ সম্মানজনক ভাবে করতে পারছি না। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে অনেকটা দায়সারা গোছের শবদাহ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। স্থায়ী শেড, চুল্লি এবং শবদেহ গোসলের ঘর দরকার। পাশাপাশি মহাশ্মশান কেন্দ্রিক একটা মন্দির একান্ত প্রয়োজন।
মহাশ্মশানের উন্নয়ন কল্পে ২০২৩ সালে এমপি’র ৫ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিভাল এন্টারপ্রাইজ বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণকালে স্থানীয়দের মাঝে জমির সীমানা বিরোধের জেরে নির্মাণ কাজটি আটকে থাকে। প্রশাসন এবং স্থানীয়দের সমঝোতা এবং বিরোধ নিস্পত্তির বিলম্বের কারণে ২০২৪ সালের শেষ দিকে বাউন্ডারি নির্মাণের আংশিক কাজ সম্পন্ন হয়। বাকি কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় শ্মশানের পুরোটাই এখনো অরক্ষিত এবং অবহেলায় পড়ে আছে। মাহমুদপুর-মাদারগঞ্জ এবং ইসলামপুরের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশেই শ্মশানটি অবস্থিত। এখানে আছে হিন্দু-মুসলিমদের বসত-বাড়িও। ফলে সংখ্যালঘু পরিবারের শবদাহ করা হচ্ছে জনসমুখে এবং অনেকটা অরক্ষিত-উন্মুক্ত স্থানেই। যা অনেকটাই দৃষ্টিকটু এবং অশোভনীয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. আলমগীর জানান-মহাশ্মশানের পুরো কাজ সম্পন্নের জন্য একটা বিগ এমাউন্ড দরকার। আমাদের সীমাবদ্ধতা মধ্যে থেকে ধাপে ধাপে পূর্ণতা আনার চেষ্টায় আছি।