শেরপুরে আড়াই মাসের এক কন্যাশিশুকে চুরি করে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে তিনদিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। একইসঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত জরিনা (৪৮) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জরিনা সদর উপজেলার লছমনপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ। এর আগে বুধবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার ও ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত জরিনার মেয়ে সাবিনা (২৮), সদর উপজেলার কামারেরচর গ্রামের সুলতান মিয়া (৪৫) ও টাংগাইল সদরের এমদাদুল হকের স্ত্রী সানোয়ারা খানম (৩০) এখনো পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নকলা উপজেলার কুলাদি গ্রামের তানিয়া আক্তার ও লতিফুর রহমান দম্পতির আড়াই মাসের কন্যাশিশু লাবিবাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চিকিৎসার জন্য শেরপুর শহরের বটতলা এলাকার নিরাপদ ক্লিনিকে নিয়ে যান তারা। ওই ক্লিনিকে পূর্ব পরিচিত শিশু চোর চক্রের সদস্য জরিনা শিশুটির মাকে বোকা বানিয়ে তার মেয়ে সাবিনার সহায়তায় শিশুটিকে চুরি করে টাঙ্গাইল জেলা সদরের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। ঘটনার পর পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করে। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি জরিনাকে শহরের মাধবপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী টাঙ্গাইল জেলা সদরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু লাবিবাকে। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।