কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে ২৯ টি কড়াত কল রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি কড়াত কলেরই কোনো কাগজপত্র নেই। এরপরেও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মধ্যে কড়াত কলের মালিকরা বড় বড় গাছের গুড়ির স্তুপ রাখার ফলে বাড়ছে দূর্ঘটনা। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার উপজেলার সরারচর আঞ্চলিক সড়কের দুইপাশে সমিলের মালিকরা গাছের বড় বড় গুড়ি স্তুপ রাখার ফলে দূর্ঘটনা এবং প্রাণহানি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে মঙ্গলবাড়িয়া বাজার এলাকায় গাছের গুড়ি রাখার ফলে সিএনজি ও অটোরিক্সায় ধাক্কা লাগায় সরারচর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষকসহ ৬ জন আহত হয়েছে। এরা স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনার পর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা গণমিছিল করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে উপজেলা প্রশাসন মহিউদ্দিন আহমেদের দুটি, ঝন্টুর দুটি ও সালাহউদ্দিনের ১ টি সমিল বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের কাহারো সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। পথচারীরা জানান মঙ্গলবাড়িয়া বাজার ও ফুটবল খেলার মাঠে কয়েকটি স্থানে গাছ কেটে দুইপাশে দখল করে নিয়েছে এসব মালিকরা। তারা প্রশাসনকে কোনো তুয়াক্কা করছে না। এদিকে বাজিতপুর পৌর শহরের বাঁশমহল থেকে বড় ব্রীজের পার রেজু মার্কেট পর্যন্ত সমিলের মালিকরা রাস্তার উপরে এসব গাছ রেখেছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।