পিরোজপুরের সাবেক দুই জিপি ও পিপিসহ পাঁচ আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে পিরোজপুর জজ আদালত চত্বর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো সাবেক দুই জিপি জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. মতিউর রহমান ও অ্যাড. শহিদুল হক খান পান্না এবং সাবেক পিপি ও পিরোজপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. খান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইরতিজা হাসান রাজু ও অ্যাড. শহিদুল ইসলাম। গত ১৮ অক্টোবর দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাদেরকে রোববার দুপুরে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের নামে একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিলো।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে শর্তানুযায়ী আজ রোববার দুপুরে পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হয়ে বাড়ী ফেরার পথে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পিরোজপুরে করা মিথ্যা মামলায় আসামীরা সাক্ষী থাকায় বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হওয়ার পর গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাগুলোতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিল গ্রেফতারকৃতরা। পরবর্তীতে রোববার সকালে জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন তারা। তবে উচ্চ আদালত থেকে প্রাপ্ত জামিনের মেয়াদ শেষ না হওয়ায়, আদালত জামিন শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করে।
এদিকে আদালতে আসামীদের উপস্থিতি টের পেয়ে, আদালত প্রাঙ্গনে ভিড় করতে থাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের গ্রেফতারের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গনে মিছিল করে ছাত্রদল। তবে তারা আদালত থেকে বের হওয়ার সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা করে। এ সময় পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত আসামী ্আলাউদ্দিন ছাড়া অন্য ৪ জনকে একটি মামলায় সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পিরেরাজপুরের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।