ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযান ও ভাংচুর বন্ধে স্বারকলীপি দিয়েছে উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি। প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার বরাবর লেখা এ স্বারকলীপিটি মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জের ভাটা মালিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলামের কাছে পৌছে দেন।
স্বারকলীপিতে উল্লেখ করেন, এই শিল্পে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোকগুলো বেকার হয়ে পড়বে। এছাড়া ইটভাটার মালিকগণ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন। আগে ড্রাম চিমনী, ফিক্সড চিমনী ও লাকড়ী দিয়ে পোড়ানো ইটভাটা সম্পূর্ণ বন্ধ করা সিদ্ধান্তে মাননীয় উপদেষ্টার সাথে আমরা একমত পোষন করেছি কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের দিকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে অভিযানের মাধ্যমে ইটভাটায় জরিমানা ও ভাংচুর করছেন। জিগজাগ ইট ভাটায় জরিমানা বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হয়রানী বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না। কোন ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারী ভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে। এছাড়া ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষনা করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে আলোচনায় না বসলে আগামী ১১ই মার্চ প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান এবং ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিযুখে পদযাত্রার ঘোষনা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খোকন ও সাধারন সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দীন সহ ভাটা মালিকরা।