টঙ্গীতে স্ক্র্যাপ নামানোকে কেন্দ্র করে পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আল-মামুন ওরফে মামুন হাওলাদার গ্রুপ ও বিএনপির কর্মী মোশাররফ হোসেন গ্রুপ মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে টঙ্গী সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকার নিটল টাটা কারখানার সার্ভিস সেন্টারে এঘটনা ঘটে। এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
বিএনপিকর্মী ও মোশাররফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোশাররফ হোসেন জানান, তিনি আগেই থেকেই ওই কারখানার স্ক্র্যাপ মালামাল টেন্ডারের মাধ্যমে নিতেন। বুধবার সকালে তিনি কারখানা কর্তৃপক্ষের খবরের ভিত্তিতে স্ক্র্যাপ মালামাল নামাতে কারখানায় যান। পরে পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল-মামুন ওরফে মামুন হাওলাদারের নেতৃত্বে ইয়াজউদ্দিন পিন্টু, দিপু, সুমনসহ আরও ১৫/২০জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কারখানায় গিয়ে তাদেরকে বাধা প্রদান করে এবং পুনরায় স্ক্র্যাপ নিতে এলে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান ও উত্তেজনা বিরাজ করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-মামুন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিরাজ নামক জনৈক ব্যাক্তি স্ক্র্যাপ মালামাল নামাতে গেলে মোশাররফ, জালাল, কাজলসহ ১০/১২জন বাধা প্রদান করে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। তবে ওই কারখানায় আগে যিনি টেন্ডার পেয়েছিলেন তার লোকজন ছিল এবং নতুন যিনি টেন্ডার পেয়েছেন তার লোকজনও ছিল। সেখানে সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি।